এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাননীয় মেয়র
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৯ম মেয়র
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৩০ আগস্ট ২০১৮
পূর্বসূরীমোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল
কাজের মেয়াদ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ – ৯ মে ২০১৩
পূর্বসূরীরেজাউন নবী দুদু (ভারপ্রাপ্ত)
উত্তরসূরীমোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1959-08-14) ১৪ আগস্ট ১৯৫৯ (বয়স ৬৪)
রাজশাহী, পূর্ব পাকিস্তান
জাতীয়তাবাংলাদেশি
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সম্পর্কআবদুল হামিদ মিয়া (পিতামহ),
লালমোহাম্মদ সরদার (প্রপিতা-মহ)
মাতাজাহানারা বেগম
পিতাএএইচএম কামারুজ্জামান
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল
পেশারাজনীতি, আইনজীবী

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (জন্ম ১৪ আগস্ট ১৯৫৯) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য [১] এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বাধীন মেয়র। ২০০৮ থেকে ২০১৩ এবং ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি রাজশাহীর মেয়র ছিলেন। ২০২৩ সালে পুনরায় নির্বাচিত হয়।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৫৯ সালের ১৪ আগস্ট রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর ১৯৭৬ সালে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি বার কাউন্সিলের সদস্য হন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৮৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন । ১৯৯৬ সালে সপ্তম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন এবং ২০১৩ সালের ৯ মে পর্যন্ত মেয়র ছিলেন। ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট পুনরায় মেয়র নির্বাচন করে জয় লাভ করেন। এবং ২০২৩ সালের ২১ জুন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আবার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। [২] ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি প্রেসিডিয়াম এর সদস্য হিসেবে অন্তৰ্ভুক্ত হন। [৩]

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

খায়রুজ্জামান লিটনের পিতার নাম আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং মাতা জাহানারা বেগম। আবুল হাসনাত বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।[৪][৫][৬] ছয় ভাই-বোনের মধ্যে লিটন চতুর্থ এবং ভাইদের জ্যেষ্ঠ। তার দাদা আবদুল হামিদ রাজশাহী অঞ্চলে মুসলিম লীগের সভাপতি ও পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার সদস্য (এমএলএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আব্দুল হামিদের পিতার নাম হাজী লাল মোহাম্মাদ দুই মেয়াদে পূর্ববঙ্গ লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের (এমএলসি) সদস্য ছিলেন। তিনি রাজশাহী এসোসিয়েশন ও বরেন্দ্র একাডেমীর একমাত্র মুসলিম সদস্য ছিলেন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ করার মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হলেন মায়া-কামরুল-লিটন | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। ২০২১-১১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৭ 
  2. "Mayor's Profile"। City portal of Rajshahi। ২০১৪-০৭-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২২ 
  3. "লিটনের পদে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে কামাল"banglanews24.com। ২০২১-১১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৭ 
  4. "RCC to establish university"New Age। ২০১২-১০-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৪ 
  5. "Nagorik Committee backs Liton"The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৪ 
  6. "Liton to contest in next Mayoral election"Bangladesh Sangbad Sangstha। ২০১৩-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৪