চিকিৎসা ক্ষেত্রে নারী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এলিজাবেথ কওয়েল (১৮২১-১৯১০), আমেরিকার প্রথম নারী চিকিৎসক এবং চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ তৈরিতে ঐতিহাসিক অবদানের জন্য স্মরণীয়।

ইতিহাস বিবেচনায় এমনকি বর্তমানেও বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চলে চিকিৎসাক্ষেত্রে (চিকিৎসক হিসেবে এবং অস্ত্রপাচারকারীর{সার্জিক্যাল} ভূমিকায়) এবং ঔষধশিল্পে নারীর অংশগ্রহণ, অবদান উল্লেখযোগ্য হারে সীমিত করে রাখা হয়েছে। তবে, নারীদের সেবিকা এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর স্বাস্থ্যকর্মীর ভূমিকায় যে অবদান তা চোখে পড়ার মতোই। বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশই এখন নারীদের চিকিৎসাবিদ্যা অর্জনে সমান সুযোগ প্রদান করে থাকে। কিন্তু, সবগুলো দেশই কর্মসংস্থানে নারীদের সমান সুযোগ এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে না, [১] এবং বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণের পরিধি বিস্তারপূর্বক চিকিৎসাক্ষেত্রে লিঙ্গীয়সমতা বিধান একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। [২] যা মোকাবেলা করে অতিদ্রুত চিকিৎসাক্ষেত্রে লিঙ্গীয়সমতাবিধানে এবং নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সোচ্চার হওয়া এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করা অতীব জরুরী। এমনকি গবেষণা এবং সমীক্ষাগুলোও যখন বলছে যে, মহিলা ডাক্তাররা পুরুষ ডাক্তারদের তুলনায় উচ্চমানের সেবা প্রদানে সক্ষম, তখন চিকিৎসা ক্ষেত্রে নারীদের পিছিয়ে পড়া অন্য কোন সামাজিক অথবা রাষ্ট্রীয় দূর্বলতার দিকেই অঙ্গুলিনির্দেশ করে!

আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার চর্চা (নারী)[সম্পাদনা]

১৫৪০ ইং সনে,ইংল্যান্ডের হেনরী অষ্টম "বারবার সার্জনস" কোম্পানিকে পেশাগত চর্চার জন্য চার্টার তথা অনুমতি প্রদান করেন, যা বিশেষভাবে স্বাস্থ্যসেবার জন্য পেশাজীবীদের দ্বারাই পরিচালিত ছিল, তবে দুঃখজনক হলেও নারীরা ছিল উপেক্ষিত। কিন্তু নারীরা এই সময়েও যেকোনো উপায়ে পেশাদারী অনুশীলন অব্যাহত রেখেছিলেন। বিশেষায়িত কোন প্রশিক্ষণ বা স্বীকৃতি ছাড়াই নারীরা পরবর্তী কয়েক শতাব্দী ইংল্যান্ডে এবং উত্তর আমেরিকাতে অনুশীলন চালিয়ে যান! ঔষধগুলো যখন প্রথম দিকে পেশাদারি চর্চার নিমিত্তে ব্যবহার উপযোগী করবার প্রচেষ্টা বিরাজমান ছিল, ওই সময়ে চিকিৎসাক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এবং আইনগতভাবেই সীমিত করে দেয়া হয়েছিল।

শত বিপত্তি সত্ত্বেও, নারীরা উন্মুক্তভাবেই স্বাস্থ্যসেবার সহযোগী পেশায় (নার্সিং, মিডওয়াইফরি ইত্যাদি) ঔষধের ব্যবহার বজায় রেখেছিলেন এবং চিকিৎসাখাতে অবদান রেখেছেন। উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দী জুড়ে চিকিৎসাবিদ্যা অর্জনে এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং সফলতা উল্লেখযোগ্য এবং প্রভাবনীয়! কখনো কখনো এই সফলতা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে প্রভাবান্বিত হয়েছিল, যেমন, মেরি রথ ওয়ালশ ডকুমেন্টেশনে দেখিয়েছেন যে, বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকে নিম্নগামী রেখা সর্বদা হ্রাসমান ছিল চিকিৎসা সেবায় নারীর অবদান পরিমাপক গ্রাফে। ১৯০০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমান নারী ডাক্তার ছিল, ১৯৫০ সালে সে তুলনায় সংখ্যায় অনেক কম নারী ডাক্তার কাজ করেছেন। যাই হোক, বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে পুরো বোর্ড জুড়েই নারীরা দারুন সফলতা অর্জন করে। উদাহরনস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে, ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৯% মহিলা ছিল, ১৯৭৬ সালে যা বেড়ে দাড়িয়েছিল ২০% এ। [৩] আর ১৯৮৫ সাল নাগাদ অনুশীলনরত নারী চিকিৎসকদের সংখ্যা দাঁড়ায় শতকরা ১৬ ভাগ। [৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Discrimination"Women's Human RightsHuman Rights Watch। ১৯৯৯। ১৪ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. Reichenbach L, Brown H (সেপ্টেম্বর ২০০৪)। "Gender and academic medicine: impacts on the health workforce"British Medical Journal329 (7469): 792–795। ডিওআই:10.1136/bmj.329.7469.792পিএমআইডি 15459056পিএমসি 521007অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  3. Walsh, 1977.
  4. Morantz-Sanchez, Preface.

জীবনী[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]