চের রাজবংশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চের

প্রাচীন দক্ষিণ ভারতের মানচিত্রে চের রাজ্যের অবস্থান
প্রাচীন দক্ষিণ ভারতের মানচিত্রে চের রাজ্যের অবস্থান
রাজধানীআদি চের রাজবংশ

কোংগু চের রাজবংশ

চের/মাকোতাইয়ের পেরুমল (পূর্বতন কুলক্ষেত্র)

মুষিক চের রাজবংশ (মুষিক রাজবংশ)

বেনাড়ু চের রাজবংশ (কুলশেখর)'

প্রচলিত ভাষা
ধর্ম
শৈবধর্ম
বর্তমানে যার অংশভারত

চের রাজবংশ ছিল দক্ষিণ ভারতের অধুনা কেরল রাজ্য এবং তামিলনাড়ুর কিয়দাংশের আদি ইতিহাসের অন্যতম প্রধান রাজবংশ।[১] খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দের প্রথম ভাগের কয়েক শতাব্দীকাল[২][৩] চের, উরাইয়ুরের চোলমাদুরাইয়ের পাণ্ড্য রাজবংশ প্রাচীন তামিলকমের তিন প্রধান রাষ্ট্রশক্তি (মুবেন্তর) হিসেবে পরিচিত ছিল।[১]

ভৌগোলিক দিক থেকে চের দেশের অবস্থান ভারত মহাসাগরে সমুদ্র বাণিজ্যের পক্ষে অনুকূল ছিল। বিভিন্ন সূত্র থেকে চেরদের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যগ্রিকো-রোমান বণিকদের মশলা (বিশেষত গোলমরিচ) বিনিময়ের কথা জানা যায়।[৪][৫][১] আদি যুগের চেরদের (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী – আনুমানিক খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দী)[১]) কেন্দ্র তামিলনাড়ুর কারুরে এবং কেরলের ভারত মহাসাগরীয় উপকূলের মুচিরি (মুজিরিস)তোন্ডি (তিন্ডিস) বন্দরে অবস্থিত ছিল বলে জানা যায়।[১] তাঁরা দক্ষিণে আলেপ্পি থেকে উত্তরে কসরগোডের মধ্যবর্তী মালাবার উপকূল শাসন করত। পালঘাট গিরিবর্ত্ম, কোয়েম্বাটুর, সালেমকোল্লি মালাই এই অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। সঙ্গম যুগে (আনুমানিক খ্রিস্টীয় প্রথম-চতুর্থ শতাব্দী) চের রাজবংশ কোয়েম্বাটোর অঞ্চল শাসন করত। এই অঞ্চলটি ছিল মালাবার উপকূলতামিলনাড়ুর মধ্যে প্রধান বাণিজ্যপথ পালঘাট গিরিবর্ত্মের প্রবেশদ্বার।[৬]

কিংবদন্তি "মাককোটাই" সহ একটি চের মুদ্রা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Gurukkal 2015, পৃ. 26-27।
  2. Karashima 2014, পৃ. 143-145।
  3. Zvelebil 1973, পৃ. 52-53।
  4. Thapar 2018
  5. Edward Balfour 1871, পৃ. 584।
  6. Subramanian, T. S (২৮ জানুয়ারি ২০০৭)। "Roman connection in Tamil Nadu"The Hindu। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১১ 

বই[সম্পাদনা]

বিশ্বকোষ নিবন্ধ[সম্পাদনা]

  • Thapar, Romila (২০১৮)। "India (History) - Southern Indian Kingdoms"Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। 
  • Pletcher, Kenneth (২০১৮)। "Cera Dynasty"Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। 
  • Tikkanen, Amy (২০১৮)। "Silappathikaram"Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। 
  • Dalziel, N. R. (২০১৬)। "Pandyan Empire"। J. M. MacKenzie। The Wiley Blackwell Encyclopedia of Empire (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 1–3। আইএসবিএন 9781118455074ডিওআই:10.1002/9781118455074.wbeoe416 
  • Edward Balfour, সম্পাদক (১৮৭১)। "Muziris"Cyclopaedia of India and of Eastern and Southern Asia (ইংরেজি ভাষায়)। II (Second সংস্করণ)। 
  • P. Gregorios and R. G. Roberson, সম্পাদক (২০০৮)। "Muziris"The Encyclopedia of Christianity (ইংরেজি ভাষায়)। 5আইএসবিএন 9780802824172 

পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ[সম্পাদনা]

সাময়িকপত্রের নিবন্ধ[সম্পাদনা]

  • Champakalakshmi, R. (২০০৩)। "A Magnum Opus on Tamil-Brahmi Inscriptions"Frontline। The Hindu। 
  • "Digging up the Past"Frontline। The Hindu। ২০১২। 

সংবাদপত্র প্রতিবেদন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Chera dynasty topics