টনি মান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টনি মান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামঅ্যান্থনি লংফোর্ড মান
জন্ম(১৯৪৫-১১-০৮)৮ নভেম্বর ১৯৪৫
মিডল সোয়ান, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১৫ নভেম্বর ২০১৯(2019-11-15) (বয়স ৭৪)
গড মারডক সেন্ট জন হাসপাতাল
ডাকনামরকেট
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ ব্রেক গুগলি
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৮৫)
২ ডিসেম্বর ১৯৭৭ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট৭ জানুয়ারি ১৯৭৮ বনাম ভারত
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৮০
রানের সংখ্যা ১৮৯ ২৫৪৪
ব্যাটিং গড় ২৩.৬২ ২৪.২২
১০০/৫০ ১/০ ২/১১
সর্বোচ্চ রান ১০৫ ১১০
বল করেছে ৫৫২ ১৪৮০২
উইকেট ২০০
বোলিং গড় ৭৯.০০ ৩৪.৫৪
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/১২ ৬/৯৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ৪৭/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

অ্যান্থনি লংফোর্ড মান (ইংরেজি: Tony Mann; জন্ম: ৮ নভেম্বর, ১৯৪৫ - মৃত্যু: ১৫ নভেম্বর, ২০১৯) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মিডল সোয়ান এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৮ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং করার পাশাপাশি লেগ ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘রকেট’ ডাকনামে পরিচিত টনি মান

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৬৩-৬৪ মৌসুম থেকে ১৯৮৩-৮৪ মৌসুম পর্যন্ত টনি মানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার হিসেবে পরিচিতি পান। দুই দশকের অধিক সময় সফলতার সাথে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। এ পর্যায়ে বেশ কয়েকবার দলের শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মিডল সোয়ান এলাকায় জন্মগ্রহণকারী টনি মান ক্ষুরধার গুগলি বোলিং সহযোগে লেগ ব্রেক বোলার হিসেবে খেলতে নামেন। ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত টেস্ট খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় একাদশের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমনের জন্যে মনোনয়নের শেষ প্রান্তে অবস্থান করেছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন টনি মান। ক্যারি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটের প্রথম মৌসুম চলাকালে কার্যকরী ব্যাটসম্যান হিসেবে অস্ট্রেলীয় টেস্ট দলে নিজেকে উপস্থাপনে সচেষ্ট হয়েছিলেন। ২ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৭ জানুয়ারি, ১৯৭৮ তারিখে সিডনিতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

সফররত ভারতীয় দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়। শ্রেয়তর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে জিম হিগসের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে টনি মান ৩/১২ পেয়েছিলেন এবং ব্যাট হাতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় ১৯ ও ২৬ রানের কার্যকর ইনিংস উপহার দেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে তার বোলিং অনেকাংশেই অকার্যকর ছিল। ০/৫২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন তিনি।[২]

দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে তাকে আরও কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়েছিল। ০/৬৩ ও ০/৪৯ বোলিং পরিসংখ্যান করেন। এ পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়া দল ৩৩৯ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় অগ্রসর হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া দল ১৩/১ থাকা অবস্থায় নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামেন। দলীয় সংগ্রহ ১৭২/২ হলে ১০৫ রান তুলে বিদেয় নেন ও অস্ট্রেলিয়া দলের বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।[৩] তৃতীয় টেস্টে বোলার হিসেবে ভূমিকা রাখেন।[৪] চতুর্থ টেস্টে জোড়া শূন্য লাভ করেন ও ১০১ রান খরচ করেও কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন।[৫] ফলশ্রুতিতে, সিরিজের পঞ্চম টেস্টে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সতীর্থ বোলার ব্রুস ইয়ার্ডলিকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। এরপর আর তাকে অস্ট্রেলিয়া দলে খেলতে দেখা যায়নি।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের কেবলমাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে খেলতে নেমে সেঞ্চুরি সন্ধান পেয়েছিলেন।[৬] তারপূর্বে ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে পার্থে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের নাসিম-উল-গনি নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ১০৫ রান তুলেছিলেন। তবে, নাসিম-উল-গনিকে ছয় নম্বরে ও তাকে তিন নম্বরে নামানো হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া দল সফলতার সাথে ৩৪২/৮ তুলে বিজয় লাভ করে। তবে, প্রথম ইনিংসে ৩/১২ লাভের পর ৩০৪ রান খরচ করেও আর কোন উইকেট পাননি। এরপর তিনি আর মাত্র দুই টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক মদ্যপান শিল্পের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত জ্যাক মান তার পিতা ছিলেন।[৭] দীর্ঘদিন অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। অতঃপর, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে গড মারডক সেন্ট জন হাসপাতালে ৭৪ বছর বয়সে টনি মানের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Townsend, John (১৫ নভেম্বর ২০১৯)। "WA's best all-round cricketer dies after cancer battle"The West Australian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. 1st test Australia vs India 1977–78 accessed 24 November 2012
  3. 2nd test Australia vs India 1977–78 accessed 24 November 2012
  4. 3rd test Australia vs India 1977–78 accessed 24 November 2012
  5. 4th test Australia vs India 1977–78 accessed 24 November 2012
  6. "Records – Test Matches – Batting Records – Most runs in an innings by a nightwatchman"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  7. The Age – Tony Mann: the first nightwatchman century maker

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]