দিলাল রাজা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দেলোয়ার খাঁন
রাজা দিলাল
সন্দ্বীপের রাজা
রাজত্ব১৬২২ - ১৬৬৬
উত্তরসূরিআব্দুল করিম খাঁন (মোগল ফৌজদার)
জন্মদেলোয়ার খাঁন
১৫৮৫
ঢাকা
মৃত্যুজানুয়ারি ১৬৬৬(1666-01-00) (বয়স ৮০–৮১)
জাহাঙ্গীর নগর
বংশধরমুছাবিবি, মরিয়ম বিবি, শরীফ খাঁ ইত্যাদি
ধর্মসুন্নি ইসলাম

দেলোয়ার খাঁ,[টীকা ১] যিনি দিলাল রাজা নামেও পরিচিত, ছিলেন বাংলাদেশের সন্দ্বীপের শেষ স্বাধীন শাসক। একজন শক্তিশালী ও দানশীল শাসক হিসেবে তার খ্যাতি ছিল, যার কারণে তাকে বাংলার রবিন হুড নামে অবিহিত করা হয় কারণ তিনি ধনীদের থেকে চুরি করে গরীবদের উপহার দিতেন। তাঁর জীবনী আজও জনপ্রিয় রয়েছে এবং সন্দ্বীপের স্থানীয় লোককাহিনী ও অদ্ভুত কেচ্ছায় তাঁর নাম পাওয়া যায়।[১] তাঁকে সতেরোশ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালী বাঙ্গালী মুসলিম শাসক হিসেবে গণ্য করা হয়।[২][৩]

জন্ম ও ছোটবেলা[সম্পাদনা]

তাঁর ছোটবেলা নিয়ে আনেক জনশ্রুতি আছে। কয়েক বর্ণনায় কথিত আছে যে শিশু দিলাল তাঁর মায়ের সাথে জাহাজে ছিলেন। জাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে তারা সন্দ্বীপের সৈকতে পড়েন। এই সন্দ্বীপ পর্তুগিজ জলদস্যুতার জন্য তখন খ্যাত ছিল। কিংবদন্তি অনুযায়ী একটি কোবরা শিশু দিলালকে রোদ থেকে রক্ষা করেছিল যা দেখায় দিলাল কত গুরুত্বপূর্ণ হবে সন্দ্বীপের ভবিষ্যতে।[১]

ইতিহাসবিদদ্বয় সৈয়দ মুর্তাজা আলী এবং মুহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন যে দিলালের মাতৃভূমি ঢাকায় ছিল, যা ব্যাখ্যা করে কীভাবে তিনি সেখানে মুঘল নৌবাহিনীতে চাকরী পেয়েছিলেন।[৪] যদুনাথ সরকারের বর্ণনায় দিলাল ছিল মুঘল নৌবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন যিনি পলায়ন করে নিজেকে স্বাধীন রাজা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন।[৫]

শাসন[সম্পাদনা]

যেহেতু বহু দশক ধরে সন্দ্বীপে জলদস্যুতা প্রচলিত ছিল, অনেক লোক সন্দ্বীপকে শাসন করেছিল। পর্তুগিজ জলদস্যু সেবাস্তিয়ান গঞ্জালেস তিবাঁওকে পরাজিত করার পর আরাকান রাজ্য ক্ষমতা গ্রহণে সফল হয়। মুঘল বাদশাহ জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে ও ইবরাহিম খান ফতেহ জঙ্গ বাংলার সুবাহদার থাকাকালে দিলাল ঢাকার মুঘল নৌবাহিনীর একজন অধিনায়কের চাকরী পান। সন্দ্বীপ দখল করার জন্য দিলাল এই দায়িত্ব থেকে গোপনে পদত্যাগ করেন ও সন্দ্বীপে তিনি তার খান্দান এবং ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী নিয়ে স্বাধীনভাবে শাসন করতে শুরু করেন। সৈয়দ মুর্তাজা আলীর মতে, আরাকানের মগদের বিরুদ্ধে মুঘলদের যুদ্ধ শুরু হওয়ায় দিলাল শান্তিপূর্ণভাবে সন্দ্বীপ শাসন করতে পেরেছেন।[৬] কেন যে দিলাল একটি স্থিতিশীল চাকরী থেকে পদত্যাগ করেছিলেন এবং নিজের জন্য বিপজ্জনক স্বাধীন জীবনধারা বেছে নিয়েছিলেন, তা অজানা।[৪] তিনি প্রায় ৫০ বছর শাসন করেন, যেটা ১৬১৮ থেকে ১৬২২ সালের মধ্যের যেকোনও একসময় শুরু হয়েছিল।[১] দিলালের ছেলে শরীফ খাঁন মুঘল অধীনস্থ ৫০০ সেনানীর মনসবদার নিযুক্ত হয়েছিলেন।[৬]

ইংরেজ ভ্রমণকারী স্যামুয়েল পরচাস লিখেছেন, সন্দ্বীপের মুসলমান সংখ্যাগুরু হলেও দিলাল সংখ্যালঘু হিন্দুদের সাথে ন্যায্য আচরণ করতেন। দিলালের বিচার ব্যবস্থা ছিল অনন্য। তার একটি আইন ছিল যে ঝগড়ার পরে উভয় পক্ষকে একই জায়গায় দাঁড়াতে হবে এবং দিলালের আগমন ও রায়ের পরেই স্থান ত্যাগ করা যাবে। দিলাল প্রয়োজনে স্বজনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও দ্বিধা করেননি বলে জানা গেছে। তিনি হিন্দুত্ববাদের জাতি-বর্ণ ভেদাভেদকেও অস্বীকার করতেন।[৬]

শত্রু বা সামরিক কৌশলের হাত থেকে সন্দ্বীপের হেফাজতের ক্ষেত্রে, দিলালের অত্যন্ত কঠোর নীতি ছিল। সন্দ্বীপের একমাত্র রাস্তাটি খাড়ির মধ্য দিয়ে যা দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ড থেকে পৃথক করেছে। এটি ছিল অগভীর, খুব সরু এবং জোয়ারের ঢেউ বা বোর যা দিনে দুবার পাহাড়ের মতো ঢেউয়ে বজ্রধ্বনি সহকারে আসে, এর মধ্য দিয়ে যায় এবং এটি নৌচলাচলের জন্য বিপজ্জনক করে তোলে। এই বোরসের ভয়ে কোনো নৌকা দিনে তিন-চার ঘণ্টার বেশি দাঁড়াতে পারে না। এই চ্যানেলের মুখে তিনি একটি কেল্লা তৈরি করেছিলেন যেখান থেকে হাজার হাজারবন্দুকওয়ালা দুশমনদের পথ বাধা বা ধ্বংস করতে পারে। দ্বীপের অভ্যন্তরে তার মহলটি ছিল একটি কেল্লা, যার চারপাশে খাদ এবং পিছনে ঘন জঙ্গল ছিল।[৭]

১৬২৯ খ্রীষ্টাব্দে আরাকানের মগ রাজা সীরিসুদ্ধম বুঝতে পেরেছিল যে দিলাল রাজা তার আরাকানের অধিপত্য মানতে রাজী নন, তাই একটি সেনা-বহর পাঠিয়েছিলেন সন্দ্বীপের দিকে। দিলাল অবিলম্বে তার সেনানীদের সন্দ্বীপের প্রবেশপথে খাঁড়িতে চুপচাপ বসে থাকার হুকুম দেন। খাঁড়ি দিয়ে প্রবেশ করে, মগরা ভয় না পেয়ে তাদের নৌকা থেকে নেমে দিলালের মহলের দিকে যেতে লাগল। সেই মুহুর্তে, দিলালের সেনানীরা মগদের আক্রমণ করতে বেরিয়ে আসে এবং কেল্লার সেনানীরাও তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। অনেক মগ নিহত বা বন্দী হলেও কেউ কেউ তাদের ভাঙ্গা নৌকা নিয়ে আরাকানের দিকে পালিয়ে যায়। এই আক্রমণের স্মরণে এলাকাটি আজও মগধারা নামে পরিচিত।[৮] সন্দ্বীপ তখন থেকে একটি শান্তিপূর্ণ দ্বীপ ছিল, এবং দিলাল আস্ত দ্বীপটিকে সুরক্ষিত করে তোলেন যাতে এটি দুশমনদের দ্বারা দখল করা না যায়।[৬]

পতন[সম্পাদনা]

১৮ নভেম্বর ১৬৬৫ খ্রীষ্টাব্দে, বাংলার সুবাহদার শায়েস্তা খাঁ তাঁর এক সেনাপতি আবুল হাসানকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ দিলাল রাজার শাসিত সন্দ্বীপ বিজয় করার হুকুম দিয়েছিলেন। ওলন্দাজ সেনাবাহিনীও এই অভিযান সমর্থন করেছিল।[৯][১০] মগরা পর্তুগিজদের সাথে ছিটকে পড়েছিল, যার ফলে পর্তুগিজরাও তখন মুঘলদের সাহায্য করেছিল। শরীফ খাঁন খূব ভালো করে সন্দ্বীপকে হেফাজত করার চেষ্টা চালিয়েছিল কিন্তু আহত হ​য়ে হেরে গেলো। এরপর মুঘল বাহিনী দিলালের বাড়ির দিকে অগ্রসর হয় যেখানে আরেকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। দিলাল একগুঁয়ে প্রতিরোধের প্রস্তাব দেন কিন্তু মুঘল ঘোড়সওয়ারদের দ্বারা আবদ্ধ হওয়ার পর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। ২৬ জানুয়ারি ১৬৬৬ এর মধ্যে বিজয় সফল হয় এবং ইউরোপীয় জলদস্যুদের প্রধান ক্যাপ্টেনকে পুরস্কৃত করা হয়।[১১] দিলাল, তাঁর ছেলে শরীফ এবং ৯২ জন সহযোগীকে পরপর জাহাঙ্গীর নগর একটি লোহার খাঁচায় বন্দী করা হয় যেখানে কয়েকদিন পরে দিলাল মারা যান।[১২][৩] জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন দাবি করেছিলেন যে তাদের মুর্শিদাবাদ-এ আটকে রাখা হয়েছিল কিন্তু ইতিহাসবিদ মুহাম্মদ আব্দুল কাদের এই দাবি খণ্ডন করেন কারণ মুর্শিদাবাদ আসলে আঠারশ শতাব্দীর প্রথম দিকে মুর্শিদকুলি খাঁ দ্বারা বাংলার রাজধানী স্থাপন করা হয়।[১৩][৪] বেশিরভাগ ইতিহাসবিদরা লিখেছিলেন যে দিলাল বন্দী করে জাহাঙ্গীরনগরে পাঠানো হয় জমিদার মনোয়ার খাঁনের (ঈশা খাঁর বংশধর) দায়িত্বে এবং পরে সেখানেই তিনি মারা যান।[১৪][১৫][১৬][১৭][৭] ১৬৬৬ খ্রীষ্টাব্দে পর্যায়ক্রমে আব্দুল করিমকে সন্দ্বীপের মুঘল ফৌজদার নিয়োগ করা হয়।[১৮]

ওয়ারিশ[সম্পাদনা]

দিলালের অনেক ছেলে ও দুই মেয়ে (মুছাবিবি ও মরিয়ম বিবি) ছিল। ছেলেদের মধ্যে শুধু শরীফ খাঁর নাম জানা আছে। ক্ষতিপূরণের উপায় হিসেবে, বাংলার সুবাহদার শায়েস্তা খাঁ দিলালের ছোট ছেলেদেরকে ঢাকা শহরের কাছে ১০-১২ গ্রামের জাগির প্রদান করেছিলেন, ধলেশ্বরীর তীরের পাথরঘাটা-মিঠাপুকুর এলাকায়। ২০০ বছর পর এসব গ্রামগুলো নদী ভাঙনের কারণে ধ্বংস হয়ে যায়। দিলালের খান্দান তারপর সাভারের গাণ্ডা গ্রামে স্থানান্তরিত হন।[১৯][২০]

দিলালের মেয়েদ্বয়ের বংশধররা কিন্তু সন্দ্বীপে রয়ে গেলেন।[২] বড় মেয়ে মুছাবিবি চাঁদ খাঁকে বিয়ে করেছিলেন, এবং ছোট মেয়ে মরিয়ম বিবি মুলিশ খাঁকে বিয়ে করেছিলেন।[২১] সন্দ্বীপে এখনও মুছাপুর এলাকা ও মুছাবিবির দিঘী উল্লেখযোগ্য আছে। চাঁদ খাঁ ও মুছাবিবির চারজন ছেলে হলেন জুনুদ খাঁ, মুকীম খাঁ, সুরুল্লাহ খাঁ এবং নূরুল্লাহ খাঁ। জুনুদের ছেলে মুহম্মদ রাজা হলেন আবু তোরাব ও ফুলবিবির বাবা। মুকীম খাঁনের ছেলে মুহম্মদ হোসেন, এবং তার ছেলে মুহম্মদ মুরাদ। ফুলবিবি ও মুহম্মদ মুরাদের বিয়ে হয় এবং তাদের ছেলে মুহম্মদ হানিফও সন্দ্বীপের একজন উল্লেখযোগ্য জমিদার ছিলেন।[২] আবু তোরাবের মহল হরিশপুরে অবস্থিত ছিল এবং ১৭৬৭ সালে তিনিই ছিলেন বাংলার প্রথম বিলাতী-বিদ্রোহী নেতা।[২২]

টীকা[সম্পাদনা]

  1. সাহিত্যে তার নাম বিভিন্ন বানানে পাওয়া যায়। যেমন দিলোয়ার, দিলওয়ার, দেলওয়ার, দিলার ইত্যাদি

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Webster, John Edward (১৯১১)। Eastern Bengal and Assam District Gazetteers। 4. Noakhali। Allahabad: The Pioneer Press। 
  2. এবিএম সিদ্দীক চৌধুরী (১৯৮৮)। শাশ্বত সন্দ্বীপ 
  3. "মরিয়ম বিবি শাহাবানী মসজিদ"। ১৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২২ 
  4. Muhammad Abdul Kader (১৯৮৮)। Historical Fallacies Unveiledইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা 161–167। 
  5. Sir Jadunath Sarker, The History of Bengal, Vol II, Muslim Period, 1943, University of Dhaka
  6. Syed Murtaza Ali (১৯৬৪)। History of Chittagong। পৃষ্ঠা 49–50। 
  7. Journal of the Muslim Institute, July–September 1907, Dilal Rajah by Maulvi M. Abdul Halim
  8. "7", দিলাল রাজার ইতিহাস, ২০১৫ 
  9. আবদুল করিম (ইতিহাসবিদ) (২০১২)। "শায়েস্তা খান"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  10. Sarkar, Jadunath, সম্পাদক (১৯৭৩) [First published 1948]। The History of Bengal। II: Muslim Period, 1200–1757। Patna: Academica Asiatica। পৃষ্ঠা 379। ওসিএলসি 924890It was Shāista Khan's task to put an end to this terror [the Arakan pirates] ... The Bengal flotilla (nawwāra) had been wofully depleted ... Shāista Khan's energy and persistence overcame every obstacle. A new navy was created, manned and equipped in a little over a year ... In a short time 300 vessels were ... ready in war-trim ... The island of Sondip ... [was] captured ... (November 1665.) A still more important gain was the seduction of the Feringis of Chātgāon from the side of the Arakanese ... A feud had just then broken out between the Magh ruler of Chātgāon and the local Portuguese ... Shāista Khan gave their chief captain a bounty ... and their other leaders were all enlisted in the Mughal service. 
  11. অনিরুদ্ধ রায় (২০১২)। "পর্তুগিজ, জাতি"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  12. Calcutta Review, July 1871
  13. George Abraham Grierson"Sandip, Noakhali District"Linguistic Survey of India। V Pt 1। পৃষ্ঠা 247–। 
  14. The Riyazu-s-Salatin, A History of Bengal, Ghulam Husain Salim,P.230
  15. History of Aurangzib, Vol 3, Jadunath Sarkar,P.204
  16. History of the Muslims of Bengal, Vol 1A, Professor Mohammad Mohol Ali
  17. A History of Chittagong, Volume one, Suniti Bhushan Qanungo, P.363
  18. মুহম্মদ শহীদুল্লাহসন্দ্বীপ উত্তরন 
  19. এবিএম সিদ্দীক চৌধুরী (১৯৮৮). শাশ্বত সন্দ্বীপ
  20. রাজিব হুমায়ূন সন্দ্বীপের ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতি (১৯৮৭) পৃ ৮০ -৯১
  21. রাজকুমার চক্রবর্তী; অনঙ্গ মহান দাস (১৯২৪)। সন্দ্বীপের ইতিহাস। পৃষ্ঠা ৪৪। 
  22. আবুল কালাম ইলিয়াস (১৬ ডিসেম্বর ২০০৩)। "The contribution of Sandwip to the struggle for freedom"The Daily Star4। ৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২২