পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পশ্চিমবঙ্গ অর্থনীতি
কলকাতার কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী জেলা (সি বি ডি)
পরিসংখ্যান
জনসংখ্যা9,99,95,670
জিডিপি$310 Billion (2023-24)
জিডিপি প্রবৃদ্ধি
10.6 % (2023-24)(constant prices)
মাথাপিছু জিডিপি
Rs 2,54,212 ($3,100) (2023-24)
খাত অনুযায়ী জিডিপি
কৃষি- 19.5%,শিল্প- 24%,চাকরি বা পরিষেবা ক্ষেত্রে- 56.5% (২০২২-২৩ current prices)
প্রধান শিল্পসমূহ
পাট শিল্প, চা শিল্প, ইস্পাত শিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, সিমেন্ট শিল্প, রেল ইঞ্জিন ও ওয়াগন নির্মাণ শিল্প, পেট্রোলিয়াম শিল্প, খনি শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি শিল্প
বৈদেশিক
রপ্তানি পণ্য
পাট জাত দ্রব্য,চা,ইস্পাত,কয়লা,সফটওয়্যার ,কাগজ,চামড়া,চাল,আলু
আমদানি পণ্য
ভারী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম,ওষুধ,খনিজ তেল

মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।
কলকাতার ব্যবসায়ী অঞ্চল

পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি একটি মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল সামাজিক বাজার ভিত্তিক মিশ্র অর্থনীতি, এবং উল্লেখযোগ্য সরকারি খাত সহ বৃহত্তম পূর্ব ভারতীয় অর্থনীতি। এটি নামমাত্র জিডিপি অনুসারে ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতি। পরিসংখ্যান ও কর্মসূচী বাস্তবায়ন মন্ত্রনালয় নীতি অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গ মাথাছুপি আয়ের (নামমাত্র) ক্ষেত্রে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে ২০তম রয়েছে। ভারতের ধারাবাহিক ইউনিয়ন সরকারগুলি ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সোভিয়েত মডেলের মান নির্ধারণ ও ব্যাপক সোভিয়েকরণ, রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ, আমলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক সহ প্রশাসনিক ব্যবস্থায় উন্নীত করেছিল, যার প্রভাব পঙ্গিমবঙ্গের অর্থনীতিতে পরিলক্ষিত হয়েছিল।

পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি হল পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রধানত কৃষি ও মাঝারি আকারের শিল্পের উপর নির্ভরশীল অর্থনীতি, যদিও রাজ্যটির অর্থনীতিতে সেবা এবং ভারী শিল্পগুলির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। রাজ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ, যথা কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদা, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এই ছয়টি উত্তরবঙ্গের জেলার বৃহত অংশ; পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম এই তিনটি দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা, এবং সুন্দরবন এলাকা।[১] স্বাধীনতার কয়েক বছর পড়ও পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল ছিল; খাদ্য উৎপাদন নিশ্চল হয়ে পড়ে এবং সবুজ বিপ্লব রাষ্ট্রকে উপেক্ষা করে। যাইহোক, ১৯৮০ এর দশকের পর থেকে খাদ্য উৎপাদনে রাজ্যটির একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং রাজ্যটি এখন কয়েকটি ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে একটি যে সমস্ত রাজ্য খাদ্য উৎপাদনের একটি উদ্বৃত্ত অংশ রয়েছে। পশ্চিবঙ্গের জনসংখ্যা ভারতবর্ষে জনসংখ্যার মাত্র ১৫% অংশ হয়েও রাজ্যটি ভারতের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উৎপাদক রাজ্যগুলির একটি, দেশের চালের প্রায় ২০% এবং আলুর উৎপাদনের ৩৩% উৎপাদন করে রাজ্যটি। [১] ২০১১ সালের হিসাবে রাজ্যটির মোট আর্থিক ঋণ ১,৯১৮ বিলিয়ন (৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) দাঁড়ায়।[২]

২০১৮-২০১৯ সালের হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ ভারত-এর ষষ্ঠ বৃহৎ অর্থনীতি, যা কাতার এর সমতুল্য। ২০১৯-২০২০ সালে রাজ্যটির মোট জিডিপি এর পরিমাণ ২১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। ২০১৫-২০১৬ সালে রাজ্যটির জিডিপির পরিমান ৯.২০ লাখ কোটি টাকা বা ১৪১ বিলিয়ন ডলার। এটি ভারতের মোট জিডিপি এর ৬.৭ শতাংশ অংশীদার। স্বাধীনতার প্রথম দিকে রাজ্যগুলির মধ্যে সর্ববৃহৎ অর্থনীতি ছিল এটি। ১৯৮০'র সময় দেশের মোট উৎপাদনের ৯.৬ শতাংশ অংশীদার ছিল এই রাজ্য । এরপর ট্রেড ইউনিয়নগুলির অত্যুগ্র আন্দোলনের ফলে রাজ্যটির অর্থনীতি সংকুচিত হয়; ১৯৯৮ সালে এসে রাজ্যটির দেশীয় উৎপাদনের অংশীদারত্ব ছিল ৫ শতাংশেরও কম। তবে ২০০০ সাল থেকে রাজ্যটির শিল্পমুখী পদক্ষেপে অর্থনীতির বৃদ্ধি ঘটে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

তথ্য[সম্পাদনা]

পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি বৈশ্বিক মন্দার অভিঘাত মোকাবিলায় যথেষ্ট দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে এর প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।

এটি পশ্চিমবঙ্গের বাজার দর অনুযায়ী মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের একটি তালিকা-

বছর মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন[৩]
(হিসাব ভারতীয় টাকাতে)
মার্কিন ডলার বিনিময়
২০০৪-২০০৫ ১,৯০,০৭৩ কোটি
২০০৫-২০০৬ ২,০৯,৬৪২ কোটি
২০০৬-২০০৭ ২,২৮,৬২৫ কোটি
২০০৭-২০০৮ ২,৭২,১৬৬ কোটি
২০০৮-২০০৯ ৩,০৯,৭৯৯ কোটি
২০০৯-২০১০ ২,৬৬,৩১৮কোটি
২০১৫-২০১৬ ৯,২০,০০০কোটি

ক্ষেত্র[সম্পাদনা]

কৃষি[সম্পাদনা]

পশ্চিমবঙ্গ একটি কৃষি প্রধান রাজ্য। রাজ্যটির মোট জিডিপি এর ২৭ % আসে কৃষিক্ষেত্র থেকে। পশ্চিমবঙ্গের প্রধান কৃষি ফসলগুলি হল ধান (চাল),আলু,পাট,গম,চা,আখ প্রভৃতি। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ চাল উৎপাদনে ভারত এর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে । এই সময় পশ্চিমবঙ্গের মোট চাল উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৫ মিলিয়ন টন।ভারতে আলু উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ,২০১৪ সালে ৮.৯ মিলিয়ন টন আলু উৎপাদন করে রাজ্যটি। এছাড়া, পাট উৎপাদনে প্রথম ও চা উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজ্যটি। দেশের মোট পাট উৎপাদনের ৬৭ শতাংশ হয় এই রাজ্যে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] রাজ্যটির গম,তৈলবীজ,আখ প্রভৃতি ফসল উৎপাদন দেশের মধ্যে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এই রাজ্যে উৎপাদিত দার্জিলিং চা জগৎ বিখ্যাত।

উৎপাদন ও শিল্প[সম্পাদনা]

পূর্ব ভারতের সর্ববৃহতৎ তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র সেক্টর ৫,নবদিগন্ত

কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী এবং পূর্ব ভারতের অর্থনীতির কেন্দ্রস্থল।এখানে পাট শিল্প ,বস্ত্র শিল্প, রাসায়নিক শিল্প,জাহাজ নির্মাণ শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প প্রভৃতি গড়ে উঠেছে।এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বন্দর শহর হলদিয়া ও পশ্চিমের খনিজ দ্রব্য পরিপূর্ণ অঞ্চলে আসানসোলদুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে। উত্তরবঙ্গে চা শিল্প ও পর্যটন শিল্প খুবই উন্নত। শিলিগুড়ি এই অঞ্চলের প্রধান শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র। একটি অগ্রণী প্রবণতা স্থাপনে পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি (আই.টি) ক্ষেত্র এক নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে এবং এটি রাজ্যের অর্থনীতির প্রসারে বেশ ভালো কাজ করছে। সুসজ্জিত ভাল প্রশিক্ষিত জনশক্তি সহ, তথ্যপ্রযুক্তি বা আই.টি শিল্প ভারতের বাণিজ্যিক রেখান্যাসের মধ্যে একটি বিশেষ স্থান দাবী করে। তথ্যপ্রযুক্তি বা আই.টি-র কেন্দ্রস্থল গঠনের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স রাজ্যে জনপ্রিয়ভাবে পরিচিত। এটি উন্নত-প্রযুক্তির ব্যবস্থার অবিশ্বাস্য অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্বব্যাপী তথ্য প্রযুক্তি (আই.টি) ব্র্যান্ডের কিছু বৃহত্তম নামের মধ্যে রয়েছে; উইপ্রো, টি.সি.এস, আই.বি.এম এবং এন.আই.আই.টি, কলকাতায় অবস্থিত এই তথ্য প্রযুক্তি (আই.টি) – ভবনগুলি রাজ্যের জন্য এক গৌরবময় স্থান। পশ্চিমবঙ্গের এই তথ্য প্রযুক্তি (আই.টি) শিল্পগুলিতে অসংখ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ শুধুমাত্র ভারতীয় সংস্থাগুলিকেই নয় বরঞ্চ বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলিকেও উচ্চ-মাত্রায় কর্মী সরবরাহের শ্রেষ্ঠ সমাধান দেয়। তথ্য প্রযুক্তির সক্রিয় সেবা বা আই.টি-র ক্ষেত্র আই.টি-র একটি সম্প্রসারণ এবং যথাযোগ্যভাবে তার মৌলিক নিয়ামকের সুযোগ বর্ধন করে।

বিদ্যুৎ খাত[সম্পাদনা]

২০১৬ সালের মে মাসের শেষে, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তার সাইট সিইএ.এনআইসি.আইএন (cea.nic.in) এর দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩০৩.০৮৩ গিথা ওয়াট এর মধ্যে রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৯৯৮৪.৪০ মেগাওয়াট। পশ্চিমবঙ্গে মোট উৎপাদিত বিদ্যুৎ-এর মধ্যে, ৮৫২৩.৮৩ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ সরবরাহ করে, বাকি ১,৩২৮.3 মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি দ্বারা একযোগে অবদান রাখে। [৪] পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় তার রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদক কেন্দ্রগুলির সাথে তাদের নিজ নিজ অবস্থান ও উৎপাদনের ক্ষমতা উল্লেখ করে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে।[৫] সেখানে মোট বিদ্যুতের পরিমাণ ১৩,৮২৬ মেগাওয়াট বলে উল্লেখ করে। [8] এপ্রিল ২০১৬ এর শেষে, ৩৭৪৬৩ টি গ্রামের মধ্যে ৩৭৪৪৯ টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌচ্ছেগেছে।ফলে পশ্চিমবঙ্গের ৯৯.৯৬ গ্রামের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ পরিসেবা পাচ্ছেন। [৬]

প্রকৌশলী[সম্পাদনা]

রত্ন এবং মণিরত্ন[সম্পাদনা]

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি[সম্পাদনা]

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

পশ্চিমবঙ্গের সড়ক পথের মোট দৈর্ঘ্য ৯২,০২৩ কিমি। এর মধ্যে রাজ্য সড়ক হল ২,৫৭৮ কিমি ও রাজ্য সড়ক ২,৩৯৩ কিমি। বাকি ৮৭,০৫২ কিমি হল জেলা সড়ক ও গ্রামীণ সড়ক।জাতীয় ও রাজ্য সড়ক দ্বারা রাজ্যের বন্দরের সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রগুলি ও শহর ভালভাবে যুক্ত।[৭]

২০১৫ সালের জুন মাসে কেন্দ্রীয় সরকার নেপাল, ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বিবিসির সংযোগের স্থায়ীত্ব বৃদ্ধির জন্য সড়ক নির্মানের জমির প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, রাজ্যটির জাতীয় মহাসড়কের দৈর্ঘ্য আরও দুই হাজার কিলোমিটারের মধ্যে বৃদ্ধি করার আহ্বান জানিয়েছে। এর জন্য $ ৪-৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে বিনিয়োগ করা হবে পশ্চিমবঙ্গে। [[৮]

পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যে রেল পরিসেবা প্রদান করে ভারতীয় রেলের তিনটি শাখা, যথা- পূর্ব রেল, দক্ষিণ পূর্ব রেল এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। ২০১৪-১৫ এর শেষের দিকে, পশ্চিমবঙ্গে রেলপথের দৈর্ঘ্য ছিল ৪,৪৮১ কিলোমিটার, যার প্রায় ৪,০০০ কিলোমিটারের বিস্তৃতি ব্রড গেজে রূপান্তরিত হয়েছে এবং প্রায় ২,৫০০ কিলোমিটার বৈদ্যুতিয়ায়ন হয়েছে, চালু ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৭১২২ কিলোমিটার এবং মোট ট্র্যাক দৈর্ঘ্য ছিল ১০,৪৬৬ কিলোমিটার। রাজ্যটিতে মোট রেলওয়ে স্টেশনের সংখ্যা ৮০০-এর বেশি।[৯][১০] কলকাতা মেট্রো রেলপথ হচ্ছে আই.আর.-এর সবচেয়ে নতুন রেলওয়ে জোন যা ২৮ কিলোমিটার পথ দৈর্ঘ্যের একটি কর্মক্ষম কলকাতা শহরের মেট্রো রেল সংযোগের সাথে, ১৭ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ মেট্রো রেল পরিসেবা প্রদান করে। ২০১০ সালের হিসাবে কলকাতায় আনুমানিক ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রো রেলপথ নির্মান চলছে।কলকাতা মেট্রো রেলের থেকে বলা হয়েছে ২০১৮ সালের জুন মাসে চারটি ভিন্ন রুটে মোট ২৩ কিমি মেট্রো রেল চালু হবে।

দুটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও দুটি অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দুটি হল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরবাগডোগরা বিমানবন্দর । অন্ডাল বিমানবন্দর ও কোচবিহার বিমানবন্দর দুটি হল আভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর। রাজ্যটিতে রয়েছে কলকাতা বন্দর এর মত বৃহত নদী বন্দর ও হলদিয়া বন্দর। কুলপিতে রয়েছে একটি ছোট বন্দর যা কুলপি বন্দর নামে পরিচিত। এছাড়া সাগর দ্বীপএ সাগর বন্দর নামে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর গড়া হবে যার গভীরতা হবে ১৪.৫ মিটার এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠছে রসুলপুর বন্দর

ফার্মাসিউটিক্যালস[সম্পাদনা]

বস্ত্র তৈরি[সম্পাদনা]

কাগজ[সম্পাদনা]

জাহাজ নির্মাণ[সম্পাদনা]

পরিষেবা[সম্পাদনা]

খনি এবং নির্মাণ[সম্পাদনা]

খনিজ পদার্থ[সম্পাদনা]

রাজ্যটি খনিজ দ্রবে খুবই উন্নত।রাজ্যটিতে মজুত রয়েছে প্রচুর কয়লা।পশ্চিমবঙ্গে সঞ্চিত কয়লার পরিমাণের দিক দিয়ে ভারতের চতুর্থ বৃহৎ রাজ্য। এছাড়া এখানে ডলোমাইট,চুনাপাথর,প্রকৃতিক গ্যাস,সামান্য ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়।রাজ্যটির কিছু স্থানে সামান্য খনিজ তেলের সন্ধান মিলেছে তবে এখনও এর উৎপাদন শুরু হয়নি।

নির্মাণ[সম্পাদনা]

পর্যটন[সম্পাদনা]

পর্যটন পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাজ্যটির প্রধান পর্যটন স্থান হল-কলকাতা,দার্জিলিং,তরাই,ডুয়ার্স,সুন্দরবন,দীঘা,গঙ্গা সাগর,শান্তিনিকেতন,বোলপুর,মুর্শিদাবাদ,বিষ্ণুপুর প্রভৃতি।

বৈদেশিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ[সম্পাদনা]

রপ্তানি[সম্পাদনা]

এই রাজ্যটির প্রধান রপ্তানি দ্রব্য হল পাটজাত পণ্য । এই পণ্য রপ্তানিতে রাজ্যটি ভারতএ প্রথম।চর্মজাত পণ্য রপ্তানিতেও এই রাজ্য দেশের শীর্ষ স্থানে রয়েছে।এছাড়া রাজ্যটি কয়লা,চা,ইস্পাত,ফ্লাই অ্যাশ,সিমেন্ট প্রভৃতি রপ্তানি করে।

মুদ্রা[সম্পাদনা]

আয় এবং খরচ[সম্পাদনা]

কর্মসংস্থান[সম্পাদনা]

অর্থনৈতিক সমস্যা[সম্পাদনা]

নিরাপত্তা বাজার[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Introduction and Human Development Indices for West Bengal"West Bengal Human Development Report 2004 (PDF)। Development and Planning Department, Government of West Bengal। মে ২০০৪। পৃষ্ঠা 4–6। আইএসবিএন 81-7955-030-3। ২৭ মে ২০০৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০০৬ 
  2. "Mamata seeks debt restructuring plan for West Bengal"Economic Times। New Delhi। ২২ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১২ 
  3. "Net state domestic product at factor cost—state-wise (at current prices)"Handbook of statistics on Indian economyReserve Bank of India। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১১। ৯ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  4. "ALL INDIA INSTALLED CAPACITY (IN MW) OF POWER STATIONS" (পিডিএফ)। Central Electricity Authority। ২০১৬-০৭-০৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-২৬ 
  5. "Details of various generating stations in West Bengal (as of 31.3.2015)" (পিডিএফ)। Power Ministry, Government of West Bengal। ২০১৬-০৮-১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-২৬ 
  6. "Progress report on village electrification as on 30.04.2016" (পিডিএফ)। Central Electricity Authority। ২০১৬-০৮-১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-২৬ 
  7. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; ibef2011 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  8. "Centre plans to give Rs. 25000-30000 crore for development of Bengal roads:Nitin Gadkari"। জুন ২৪, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-০৮ 
  9. "The network" (পিডিএফ)। Indian Railways। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-৩০ 
  10. "Physical Infrastructure"। WBIDC। ২০১২-০১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-৩০