যশোদাবেন মোদি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
যশোদাবেন নরেন্দ্রভাই মোদী[১]
যশোদাবেন
যশোদাবেন মোদীর চিত্রকর্ম
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দাম্পত্য সঙ্গী
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৬ মে ২০১৪
পূর্বসূরীগুরুশরণ কাউর
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর দাম্পত্য সঙ্গী
কাজের মেয়াদ
৭ অক্টোবর ২০০১ – ২২ মে ২০১৪
পূর্বসূরীলীলা প্যাটেল
উত্তরসূরীমাফাটলাল প্যাটেল
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৫২ (বয়স ৭১–৭২)[২]
ব্রহ্মওয়াদা, বোম্বে প্রদেশ (বর্তমানে গুজরাত), ভারত
জাতীয়তাভারতীয়
দাম্পত্য সঙ্গীনরেন্দ্র মোদী (বি. ১৯৬৮)[৩]
পেশাশিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত)
ধর্মহিন্দু

যশোদাবেন নরেন্দ্রভাই মোদী (জন্ম ১৯৫২) হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী। ঐতিহ্য অনুসারে তারা শিশু থাকা অবস্থায় উভয় পরিবারের আয়োজনে তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৮ সালে তাদের বিয়ের সময় নরেন্দ্র মোদীর বয়স ছিলো ১৮[৩] এবং যশোদাবেনের ১৬।[২] বিয়ের কিছুদিন পরে নরেন্দ্র মোদী যশোদাবেনকে ছেড়ে তিন বছরের জন্য সন্যাসব্রত পালনের উদ্দেশ্যে জন্য গৃহত্যাগ করেন। পরবর্তী জীবনে তিনি তার কাকার ব্যবসায় কাজ শুরু ও সরকারি অফিসে চাকরি করলেও যশোদাবেনকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেননি।[৪] আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি প্রথম বারের মতো তার বিয়ের কথা স্বীকার করেন ২০১৪ সালে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রচারণা প্রাক্কালে। যশোদাবেন নিজেকে নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি বিয়ের পরেও তার পড়াশোনা চালিয়ে যান ও শিক্ষাজীবন শেষ করেন এবং পরবর্তীতে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।[৫]

শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করার পর যশোদাবেন খুবই সাধারণ জীবন যাপন করেন, যেখানে তার বেশিরভাগ সময় কাটে প্রার্থনা করে।[৬] প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে তিনি সরকারের একটি অংশ এবং সরকারিভাবে তাকে নিরাপত্তা প্রদান করা হয়, কিন্তু নিরাপত্তাকর্মীদের দায়িত্ব বা এই অবস্থানে থেকে তার অধিকার কী সে সম্পর্কে তিনি অবগত নন।[৭] ভারতীয় সমাজে নারী ও পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যশোদাবেনের সাথে মোদীর এই বিয়ের বিতর্ক ভারতের গণমাধ্যমের অন্যতম আলোচিত একটি বিষয়।

প্রাথমিক জীবন, বিয়ে, ও পেশাজীবন[সম্পাদনা]

যশোদাবেনের জন্ম ১৯৫২ সালে।[২] তার জন্মের দুই বছর পর তার মা মারা যান।[২]

নরেন্দ্র মোদী ও যশোদাবেনের বিয়ে ছিলো পারিবারিকভাবে আয়োজিত। বড়নগরের[৪] ঘাঞ্চী বর্ণের রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। তাদের বয়স যখন তিন বা চার তখন তাদের বাগদান অনুষ্ঠিত হয়।[৪] তাদের বয়স যখন আনুমানিক ১৩ বছর তখন পারিবারিকভাবে ধর্মীয় রীতি অনুসারে তাদের বিয়ে পড়ানো হয় যা আঞ্চলিকভাবে ‘শাদী’ হিসেবে পরিচিত।[৪] আইনগতভাবে তাদের বিয়ে হয় ১৯৬৮ সালে।[৩] তখন মোদীর বয়স ছিলো ১৮ এবং যশোদাবেনের বয়স ছিলো আনুমানিক ১৬।[৪] বিয়ের পর পরই তারা একত্রে সাংসারিক জীবন শুরু করেন।[৪]

বিয়ের কিছুদিন পর মোদী তার স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান এবং হিমালয়ের গিয়ে সন্ন্যাসব্রত পালন করা শুরু করেন।[৪] যশোদাবেন এরপর কয়েক মাস মোদীর পরিবারের সাথে বসবাস করেন।[৩] বিয়ের পর তিনি আবার স্কুলে তার পড়াশোনা চালু করেন।[৮] বিয়ের দুই বছর পর তার বাবার মৃত্যু হয়।[২] বাবার মৃত্যুর পরেও তিনি তার পড়াশোনা চালিয়ে যান ও ১৯৭২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[৮]

প্রায় তিন বছর কোনো প্রকার যোগাযোগের বাইরে থাকার পর মোদী বাড়ি ফিরে আসেন এবং তার পরিবারের সাথে মিলিত হন।[৪] তিনি এরপর যশোদাবেনকে ছাড়াই আহমেদাবাদ গিয়ে তার চাচার রেস্তোরাঁয় কাজ করার পরিকল্পনা করেন।[৪] যাবার পূর্বে মোদীর মা যশোদাবেনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাকে মোদীর কাছে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন যেনো তারা সাংসারিক জীবন চালিয়ে যেতে পারেন।[৪] যশোদাবেন মোদীদের বাড়ি আসার পর মোদীর সাথে তার বাবা-মার কথা কাটাকাটি হয়। ফলশ্রুতিতে তিনি বাড়ি ছাড়েন ও পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে তার চাচার কাছে আশ্রয় নেন।[৪] যশোদাবেনের ধারণা এই তিন বছরের বিবাহিত জীবনে তিনি তিন মাসের মতো সময় তার স্বামীর সাথে কাটিয়েছেন।[৪]

প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক হওয়ার তাগিদে যশোদাবেন পরবর্তীতে তার পড়াশোনা চালিয়ে যান। ১৯৭৮-১৯৯০ পর্যন্ত তিনি বনসকান্ত জেলায় শিক্ষকতা করেন।[৮] ১৯৯১ সালে তিনি তার বর্তমান বাসস্থান রাজসেনা গ্রামে চলে আসেন।[৮] বর্তমানে তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা এবং তিনি প্রতি মাসে ১৪,০০০ ভারতীয় রূপি অবসরভাতা পান।[২] একজন ভাষ্যকারের মতে এতো অল্প বেতনে জীবন ধারণ করা যশোদেবেনের জন্য খুবই কষ্টকর ছিলো এবং তার সারা জীবন কেটেছে দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে। মোদীর সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে তার ভাষ্য, “আমরা কখোনই যোগাযোগের মধ্যে ছিলাম না... আজ পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে কখনোই আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়নি।”[২] পরবর্তীতে আরেকটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে, ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত মোদী তার সাথে সাধারণ কথাবার্তা চালিয়ে যান।[৯] বর্তমানে যশোদাবেন তার ভাই অশোক ও তার স্ত্রীর সাথে উনঝাতে বসবাস করেন।[৩] তিনি খুব সাধারণ জীবনযাপন করেন এবং তার দিন কাটে ধর্মকর্ম করে। প্রতিদিন ভোর ৫টায় তিনি ঘুম থেকে ওঠেন এবং প্রার্থনা শুরু করেন এবং প্রার্থনা শেষে তিনি মন্দিরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।[৬]

জনসম্মুখে বিয়ে প্রসঙ্গ[সম্পাদনা]

২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ভারতের সাধারণ নির্বাচনে মোদী বড়োদরা আসন থেকে ভারতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।[১০] নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে রিপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপল অ্যাক্ট অনুসারে মোদী তার পূর্বের কোনো বিয়ে করে থাকলে তা জানাতে বাধ্য ছিলেন। ফলশ্রুতিতে জনপ্রকাশ্যে প্রথমবারের মতো মোদী স্বীকার করেন যে তার একজন বৈধ স্ত্রী আছে।[১০] এর আগে মোদী প্রায় সময়ই বলতেন যে তিনি ভারত থেকে দুর্নীতি বিতাড়িত করতে পারবেন কারণ তার কোনো স্ত্রী বা পরিবার নেই। এমন কী আগে মোদী কোনো সরকারি কাগজপত্রেও তার যে একজন স্ত্রী আছে তা স্বীকার করেননি।[১১]

মোদীর ভাই সোমভাই মোদী এই বলে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন যে পূর্বে অনুষ্ঠিত বাল্য বিবাহটি মোদীর ওপর পরিবারের পক্ষ থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।[১২] তিনি আরও বলেন যে মোদী ও তার স্ত্রীর মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি এবং মোদী বিয়ের আনুষ্ঠিকতা শেষ হওয়ার পর পরই চলে যান।[১২] পরবর্তীতে স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে মোদী সমাজসেবার কাজ শুরু করেন।[১২]

মোদী তার বিয়ের কথা স্বীকারের আগে একদল আন্দোলনকর্মী ও নিরাপত্তা পেশাজীবি যশোদাবেনের বাড়ি পরিদর্শন করেন।[৩] তারা তাকে চর ধামে তীর্থযাত্রায় নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। যশোদাবেনের নিজেরও অনেক দিনের শখ ছিলো এই তীর্থযাত্রায় অংশ গ্রহণের।[৩] তীর্থযাত্রা চলাকালে তারা তাকে ইয়োগা গুরু রামদেবের আশ্রম রিশিকেষেও নিয়ে যান যেখানে তিনি এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত অবস্থান করেন।[৩] সাংবাদিকরা যশোদাবেনের কাছ থেকে তার বিয়ে নিয়ে মন্তব্য পাওয়ার আশা করছিলেন কিন্তু তার পরিবার তাদেরকে জানায় যে তিনি মে মাসে বাড়ি ফিরবেন।[৩]

নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রাক্কালে মোদীর বিরোধীপক্ষ সরকারি কাগজে বিয়ের কথা গোপন করায় তার সমালোচনা করে। আম আদমি পার্টির একজন সদস্য বৈধ স্ত্রীর কথা প্রকাশে ব্যর্থ হওয়ায় মোদীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার দাবি জানান।[১৩] যশোদাবেনের স্থায়ী অ্যাকাউন্ট নম্বর প্রদান না করায় ২০১৪ সালে অজয় রায় নামের কংগ্রেসের একজন রাজনীতিক মোদীর বিপক্ষে এলাহাবাদ হাই কোর্টে একটি মামলা করেন।[১৪]

রাজনৈতিক পদক্ষেপ ও বর্তমান জীবন[সম্পাদনা]

১৯৯২ সালে যশোদাবেন মোদী ও তার বিয়ে প্রসঙ্গে লেখা একটি নিবন্ধের জন্য অভয়া নামে একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।[১২] ২০০৯ সালে ওপেন ম্যাগাজিন যশোদাবেনকে তার গ্রামে খুঁজে বের করেন ও তাকে কিছু প্রশ্ন করার সুযোগ পান।[৮] ২০১৪ সালে দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একজন প্রতিবেদক তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।[২] একই বছরের মে মাসে টিভি৯ গুজরাত তার ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে।[৯] পরবর্তীতে ডিসেম্বরে ডন নিউজের একজন লেখক বলেন, যশোদাবেনের সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন সময়ে পার করে আসা বিভিন্ন সংকটময় অবস্থা ও বিপদ-আপদ সম্পর্কে প্রতিবেদন দেওয়ার মতো সাহস তার সাক্ষাৎকার নেওয়া বেশিরভাগ সংবাদপত্রের ছিলো না।[১৫]

যশোদাবেন জানিয়েছিলেন যে তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তবে আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি সেখানে যোগ দিতেন।[৯] তিনি আরও জানান যে, মোদীর জন্য তার যথেষ্ট আবেগ রয়েছে এবং মোদী যে নির্বাচনের আগে সরকারি কাগজপত্রে তাকে তার স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট।[৯] এবং তিনি এটাও বলেন যে, তিনি মোদীর সাথে সঠিক সময়ে আবার দেখা করার ব্যাপারে আশাবাদী।[৯]

২০১৪ সালে রাজনীতিক গোপীনাথ মুণ্ডের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগদানকে যশোদাবেন জনসম্মুক্ষে অনুষ্ঠিত তার জীবনের প্রথম কোনো অনুষ্ঠান হিসেবে অভিহিত করেন।[১৬] ঐ বছরেরই নভেম্বরে তিনি প্রথমবারের মতো মুম্বাই যান এবং মহালক্ষী মন্দিরসিদ্ধিভিনায়ক মন্দিরে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীর জন্য প্রার্থনা করেন।[১৭]

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যশোদাবেন তার ঘরে কিছু খ্রিস্টান মিশনারিকে আশ্রয় দেন যারা তাকে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।[১৮][১৯] জুন মাসে মোদীর সমর্থকদের আয়োজিত একটি রাজনৈতিক কনফারেন্সে তাকে বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়।[২০] পরবর্তীতে কনফারেন্সের আয়োজকরা জানান যে, এক সপ্তাহ ব্যাপী এই কনফারেন্সটি দ্বিতীয় দিনেই বিজেপি নেতা অমিত শাহ ও অন্যান্যদের নির্দেশনায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও বন্ধ করে দেওয়ার প্রেক্ষিতে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি তবে অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন যে যশোদাবেনের অংশগ্রহণ এড়াতেই এমনটি করা হয়েছে।[২০]

দেশের বাইরে থাকা আত্মীয় ও বন্ধুদের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে যশোদাবেন ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে পাসপোর্টের আবেদন করেন। তবে বিবাহ নিবন্ধনের কাগজ বা স্বামীর সাথে একত্রে স্বাক্ষরিত কোনো হলফনামা প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়ায় ‘অসম্পূর্ণ’ হিসেবে তার আবেদনটি বাতিল হয়ে যায়। এর পর তার ভাই অশোক জানান যে, তারা আইনগতভাবে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছেন।[২১]

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট তথ্য জানানোর অনুরোধ[সম্পাদনা]

আমি সবসময় পাঁচ জন নিরাপত্তাকর্মী বেষ্টিত থাকি। প্রায় সময় আমাকে বা আমার আত্মীয়দের তাদের জন্য রান্না করতে হয়। আমার বৌদি তাদের ঘুমানোর ব্যবস্থা করেন। বুঝতেই পারছেন যে, এটি যথেষ্ট বিরক্তিকর... এটি বিভ্রান্তিকর হয়ে যায় যখন আমার কোথাও ভ্রমণ করতে হয়। কারণ আমি গণপরিবহন ব্যবহার করি আর তারা তাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে বসে আমাকে অনুসরণ করে।

রয়টার্সকে যশোদাবেন, নভেম্বর ২০১৪[২২]

২০১৪ সালের মে মাস থেকে মেহসানা জেলার পুলিশ যশোদাবেনকে নিরাপত্তা প্রদান করা শুরু করে।[২৩] স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ আইন অনুসারে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দাম্পত্য সঙ্গী যথাযথ নিরাপত্তা পাবার দাবীদার আর এজন্যই এই নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদান করা শুরু করেন।[২৪] এছাড়াও স্যালারিজ অ্যান্ড অ্যালাউন্সেস অফ মিনিস্টারস’ আইন অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে যশোদাবেন আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দাবীদার।[২৪]

২০১৪ সালের নভেম্বরে যশোদাবেন রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট (আরটিআই) অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে তার নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বরাবর একটি লিখিত অনুরোধ করেন।[২৫][২৬] তিনি জানান যে নিরাপত্তারক্ষীদের কার্যক্রমে তিনি আতঙ্কবোধ করেন এবং তিনি তাদের ওপর অর্পিত নির্দেশনার অনুলিপি চান।[২৭] ভারতের গণমাধ্যমে তার এই তথ্যের অনুরোধ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে, যশোদাবেনের আতঙ্ক, আর অভিযোগের পেছনে থাকা অর্থনৈতিক জটিলতা, নিরাপত্তারক্ষীদের অতিথি হিসেবে আপ্যায়িত হওয়ার ইচ্ছা, বা ভারতে নারী স্বাধীনতার একটি উদাহরণ হিসেবেও অভিহিত করা হয়।[২২] যশোদাবেন জানিয়েছেন যে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে গণ্যমাধ্যমের সাথে কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন।[২৮] গাল্ফ নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায় যে নিরাপত্তারক্ষীরা তার সাথে রয়েছে মূলত তার ওপর গোয়েন্দাগিরি করার উদ্দেশ্যে।[২৮] যশোদাবেনের পরিবারারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের সাথে কোনো পরিচয়পত্র রাখেন না এবং তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমন কী তারা কে এবং কোন দপ্তর থেকে তাদেরকে এই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে সে বিষয়েও কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।[১]

ডিসেম্বর মাসে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো তার তথ্যের অনুরোধ প্রত্যাখান করে। প্রত্যাখ্যানের কারণ হিসেবে তারা জানায় যে আইন অনুসারে তাদেরকে এ ধরনের তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে অব্যাহতি দেওয়ার একটি সুযোগ রয়েছে যা এই অনুরোধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়েছে।[২৬] অনুরোধ জানানোর সময় যশোদাবেন তার বিবাহিত নাম ‘যশোদাবেন নরেন্দ্রভাই মোদী’ ব্যবহার করেছিলেন[১] কিন্তু প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে উত্তর দেওয়ার সময় তাকে ‘যশোদাবেন, (তার পিতার নাম)-এর কন্যা’ আকারে অভিহিত করা হয়।[২৯] ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে তিনি এই প্রত্যাখানের বিরুদ্ধে আপিল করেন।[৩০] আপিলের পাশাপাশি তিনি আরও উল্লেখ করেন যে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তা তার নাম ‘যশোদাবেন নরেন্দ্রভাই মোদী’ ব্যবহার না করে তার বিবাহপূর্ব নাম ‘যশোদাবেন চিমনলাল মোদী’ ব্যবহার করেছেন।[৩০] ২০১৫ সালে পয়লা জানুয়ারি ভারতের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দূরদর্শনে যশোদাবেনকে উপস্থাপন করা হয় যেখানে এ বিষয়টি নিয়ে তিনি তার মন্তব্য জানিয়েছিলেন।[৩১][৩২] ফলশ্রুতিতে তথ্য ও প্রচার মন্ত্রক দূরদর্শনের এই অনুষ্ঠান পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং টেলিভিশনটির প্রচারের দায়িত্বে থাকা পরিচালককে আহমেদাবাদ থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পোর্ট ব্লেয়ারে বদলি করা হয়।[৩১][৩২] একই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি যশোদাবেনের আবেদন আবার প্রত্যাখ্যাত হয় এবং প্রত্যাখানের জবাবে তাকে পুনরায় ‘যশোদাবেন, চিমনলাল মোদীর কন্যা’ হিসেবে সম্বোধন করা হয়।[৩৩]

২০১৫ সালের মে মাসে যশোদাবেন তৃতীয় বারের মতো তার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট তথ্য এবং এ বিষয়ক নির্দেশনা জানতে চেয়ে আবেদন করেন।[৭] তিনি এ অভিযোগও করেন যে তিনি তার আবেদন ফর্মে তার আইনত বৈধ নাম যশোদাবেন নরেন্দ্রভাই মোদী ব্যবহার করে পূরণ করলেও সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা উত্তরে তাকে তার বিবাহপূর্ব নামে সম্বোধন করা হয়েছে।[১] এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি একজন প্রতিনিধি বলেন, “যদি তিনি প্রথমবার আবেদন জানানো কর্তৃপক্ষের প্রদান করা তথ্যে সন্তুষ্ট না হন তবে তিনি গুজরাতের তথ্য কমিশনের কাছে দ্বিতীয়বারের মতো আবেদন করতে পারেন।”[১] নারী বিষয়ক ভাষ্যকার শুভা দে যশোদাবেনের তথ্য চেয়ে করা আবেদনকে ‘সাহসী, সোজাসাপ্টা, এবং প্রাসঙ্গিক’ বলে অভিহিত করার পাশাপাশি যশোদাবেনকে একজন ‘সুপারহিরো’ ও ‘তেজস্বী’ হিসেবে অভিহিত করেন।[৩৪]

ভারতীয় নারীর মুখপাত্র হিসেবে যশোদাবেন[সম্পাদনা]

যশোদাবেন গলায় মঙ্গল সূত্র হার পরিধান করেন ও মাথায় সিঁদুর দেন যা ঐতিহ্যগতভাবে একজন বিবাহিত হিন্দু নারীকে নির্দেশ করেন।[৩৪] তার বিয়ে ও মোদীর সাথে সাথে তার সম্পর্ক ভারতে নারী ও পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও সচেতনতার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে এজন্য যে, যশোদাবেন-ই প্রথাগত বিয়ের কারণে সৃষ্ট জটিলতার স্বীকার প্রথম নারী নন যিনি তার রাজনীতিবিদ স্বামী দ্বারা প্রত্যাখাতের স্বীকার হয়েছেন।[৩৫]

নরেন্দ্র মোদীর বোন যশোদাবেনকে একজন সত্যিকারের ভারতীয় নারী হিসেবে অভিহিত করেছেন।[৩৫] ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে যশোদাবেনকে একজন ত্যাগী স্ত্রী হিসেবে দেখা হয়, কারণ প্রায় ৫০ বছর ধরে স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা সত্ত্বেও স্বামীর প্রতি তার ভালোবাসা ও আবেগ অটুট রয়েছে।[৩৫] একজন ভাষ্যকার তাকে গৌতম বুদ্ধের স্ত্রী যশোধরাতুলসীদাসের স্ত্রী রত্নাবলীর সাথে তুলনা করেছেন, যাদের স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের অস্বীকার করার পর বিখ্যাত ধর্মগুরু হয়ে উঠেছিলেন।[৩৬] এছাড়াও হিন্দু ঐতিহ্যের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্রের সাথে তার সাথে তুলনা করা হয় যাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ‘ভারতীয় নারীত্বের স্বেচ্ছাত্যাগ ও কষ্ট মেনে নেওয়ার প্রবণতা, যা অনন্তকাল ধরে ভারতীয় সমাজে একটি উঁচুমনা ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত’ ফুটে উঠেছে। এসকল বিখ্যাত নারীর মধ্যে রয়েছে সাবিত্রী, সীতা, এবং শকুন্তলা[৩৬]

শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রায়ই যশোদাবেনকে চিঠি পাঠান।[৩৭] একজন তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, “ভারতের কোটি কোটি নারী তার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পান।”[৩৭] ধর্মীয় সংগঠনগুলো তাকে ব্রহ্মচর্যের হিন্দু দেবতা হনুমানের স্ত্রী শুভার্চলার সাথে তুলনা করেন, কারণ হনুমান যখন শুভার্চলাকে তার স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করতে চান তখন তিনি কোনো প্রতিবাদ করেননি।[৩৭]

ডন নিউজের একজন লেখক বলেন, যশোদাবেন ও মোদির বিয়ে ছিলো “একটি আইনগত ও প্রকাশ্য ঘটনা, দুই জন দাম্পত্য সঙ্গীর কোনো লুকায়িত কোনো ঘটনা নয়।” তিনি বিষয়টিকে স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কিত শাহ বানুর মামলার সাথেও তুলনা করেন।[১৫]

ভারতে রাজনীতিকদের সফলতার সাথে তাদের দাম্পত্য সঙ্গী না থাকা বা দাম্পত্য সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক না থাকার বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রেও মোদী ও যশোদাবেনের আলাদা হওয়ার বিষয়টি আলোচিত হয়।[৩৫] মোদীকে রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়া রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ তাদের জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বে কৌমার্যের মূল্যায়ন করে। মায়াবতী, জয়ললিতা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ প্রভাবশালী ভারতীয় নারী রাজনীতিকরা কোনো দাম্পত্য সঙ্গী না থাকায় যথেষ্ট সম্মান পান। যদিও ব্যাপারটি নারীর দায়িত্ববোধের একটি ভিন্ন মাত্রা নির্দেশ করে।[৩৫] সোনিয়া গান্ধীও স্বামী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর পুনরায় বিয়ে না করায় সম্মানিত। কিছু পর্যবেক্ষক বিশ্বাস করেন যে তিনি যদি আবার বিয়ে করতেন তবে রাজনৈতিকভাবে তিনি তার সম্মান হারাতেন।

মোদীর দল বিজেপির বিরোধী দল কংগ্রেসের সদস্য ও আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ব্যঙ্গাত্মক[৩৮] অর্থে পরামর্শ দেন যে যশোদাবেনকে নোবেল পুরস্কারভারতরত্ন পুরস্কার প্রদান করা উচিত।[৩৯] যশোদাবেনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “তিনি হচ্ছেন মহান ভারতীয় নারীত্ব ও ত্যাগের প্রতীক।” তিনি পরোক্ষভাবে মোদীকে আক্রমণ করেন এবং মোদীর তার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার মতো বিষয় হিসেবে বর্ণনা করেন।[৪০] ভারতীয় সংসদ সদস্য সাক্ষী মহারাজ বলেন যে যশোদাবেনের ধর্মীয় আরাধনা মোদীর রাজনৈতিক সাফল্যে ভূমিকা রেখেছে।[৪১] গুরুদাস কমত নামের আরেকজন সংসদ সদস্য বলেন যে মোদী যেভাবে তার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করেছেন তা ছিলো তার (যশোদাবেন) জন্য একটি অবিচার।[৪২]

একটি গণমাধ্যম সূত্র পরামর্শ দেয় যে যশোদাবেনের ভালোর জন্যই তাকে লোকপ্রকাশ্যের আড়ালে রাখা উচিত।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Express News Service (মে ৩, ২০১৫)। "Jashodaben moves State Information Commission with fresh RTI"The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৫ 
  2. Ajay, Lakshmi (১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "'I like to read about him (Modi)... I know he will become PM'"The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  3. Oza, Nandini; Bhattacherjee, Kallol (২২ এপ্রিল ২০১৪), "THE FORGOTTEN HALF", week.manoramaonline.com, Malayala Manorama, ২৩ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা 
  4. Jose, Vinod K (১ মার্চ ২০১২)। "The Emperor Uncrowned"The Caravan। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  5. Lakshmi Chaudhry (এপ্রিল ১১, ২০১৪)। "Fantasies of Jashodaben: Leave Narendra Modi's wife alone"। CNN IBN7 firstpost। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  6. Gowen, Annie (২৫ জানুয়ারি ২০১৫)। "Abandoned as a child bride, wife of Narendra Modi hopes he calls"The Washington PostWashington, DC: WPCআইএসএসএন 0190-8286। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৫ 
  7. Desai, Darshan (৩ মে ২০১৫)। "PM Modi's wife Jashodaben hopes to get 3rd time lucky with RTI"India Today। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৫ 
  8. Deshpande, Haima (১১ এপ্রিল ২০০৯)। "I am Narendra Modi's Wife"OPEN। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  9. (interviewer's name not in English) (২৩ মে ২০১৪)। "Exclusive : Narendra Modi's wife Jashodaben in conversation with Tv9"TV9 (Gujarati)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪Tv9 Gujarati 
  10. Taylor, Adam (১০ এপ্রিল ২০১৪)। "Why did Narendra Modi keep his wife secret for almost 50 years?"The Washington PostWashington, DC: WPCআইএসএসএন 0190-8286। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  11. staff (১০ এপ্রিল ২০১৪)। "India election: BJP 'bachelor' Modi admits marriage"bbc.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৪ 
  12. Mahurkar, Uday (১০ এপ্রিল ২০১৪)। "Revealed: Why Narendra Modi walked out of his marriage with Jashodaben"India Today। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  13. Khan, Saeed (১৫ অক্টোবর ২০১৪)। "Modi's defective affidavit issue reaches high court – The Times of India"indiatimes.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৪ 
  14. staff writer (৩১ অক্টোবর ২০১৪)। "Allahabad HC gives 6 weeks' time to PM Narendra Modi to file statement on election petition"indiatimes.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৪ 
  15. Naqvi, Jawed (৩০ ডিসেম্বর ২০১৪)। "New Year resolve for Jashodaben"Dawn News। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৫ 
  16. Ajay, Lakshmi (১১ জুন ২০১৪)। "Modi's wife Jashodaben attends condolence meeting for Gopinath Munde"indianexpress.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৪ 
  17. staff (২১ নভেম্বর ২০১৪)। "Jashodaben prays at Mumbai temples for PM Modi"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৫ 
  18. staff (৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "s peter paul meet with jasodaben. किसने कहा, 'जशोदाबेन की प्रार्थनाओं से पीएम बने मोदी'"Amar Ujala। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৫ 
  19. staff (ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৫)। "Christian missionary meets Jashodaben to heal her, Hindu groups are busy being stupid"opindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৫ 
  20. Rawat, Basant (১২ জুন ২০১৫)। "She who BJP can't stomach"telegraphindia.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৫ 
  21. "No passport for PM's spouse, as she has no marriage certificate"। The Hindu। ৭ নভেম্বর ২০১৫। 
  22. Burke, Jason (২৬ নভেম্বর ২০১৪)। "Jashodaben Modi: why is the Indian prime minister's wife trying to shake off her security detail?"theguardian.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৫ 
  23. Press Trust of India (৩০ মে ২০১৪)। "PM Narendra Modi's wife Jashodaben given police protection"indianexpress.com। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  24. Mookerji, Nivedita (২৬ নভেম্বর ২০১৪)। "Jashodaben's security cover to stay; the jury is out on rules for privileges"Business Standard। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৫ 
  25. staff (২৪ নভেম্বর ২০১৪)। "PM Modi's wife Jashodaben 'unhappy' over security cover, files RTI to seek details from government"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৫ 
  26. Express News Service (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Jashodaben denied info under RTI again"The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৫ 
  27. staff (২৫ নভেম্বর ২০১৪)। "Scared of her guards, PM Narendra Modi's wife Jashodaben files RTI"indiatimes.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৫ 
  28. Abdi, S.N.M. (১৯ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Let Modi change his mindset towards women"gulfnews.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৫ 
  29. Trivedi, Mahesh (২৯ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Modi's estranged wife fails to get details on security provided to her"Khaleej Times। ১ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৫ 
  30. staff (৩ জানুয়ারি ২০১৫)। "Denied information under RTI, Jashodaben files appeal"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৫ 
  31. Raman, Anuradha (২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Interruption Regretted"Outlook। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৫ 
  32. Venugopal, Vasudha (৩১ জানুয়ারি ২০১৫)। "DD Gujarat official sent to Andamans for airing Jashodaben news – timesofindia-economictimes"indiatimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৫ 
  33. staff (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Jashodaben denied info under RTI again"The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৫ 
  34. De, Shobhaa (২৯ নভেম্বর ২০১৪)। "Jashodaben – The superhero"Ahmedabad Mirror। ৩০ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৫ 
  35. Dhillon, Amrit (২২ এপ্রিল ২০১৪)। "Mr. Modi's abandoned wife joins an alarming trend in Indian politics"The Globe and Mail। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  36. Kanwal, Jogindar Singh (১৪ ডিসেম্বর ২০১৪)। "The story of Jashodaben"Fiji Times। ১৬ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৫ 
  37. Rana, Niyati; Choudhary, Chetna (৭ ডিসেম্বর ২০১৪)। "To Jashodaben with love"ahmedabadmirror.com। ২৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৫ 
  38. Vadukut, Sidin (১৫ এপ্রিল ২০১৪)। "What Narendra Modi's critics say and who is hogging the airtime"Live Mint। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৫ 
  39. Guwahati (১৩ এপ্রিল ২০১৪)। "Jashodaben should get Bharat Ratna for her sacrifice: Gogoi – The Hindu"thehindu.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  40. Press Trust of India (১৩ এপ্রিল ২০১৪)। "Tarun Gogoi attacks Narendra Modi over 'married' status"indianexpress.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  41. Akram, Maria (৯ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Sakshi Maharaj's ode to Modi's wife surprises crowd"indiatimes.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৫ 
  42. Tare, Kiran (২৮ জানুয়ারি ২০১৫)। "Kamat Rakes up Row by Comparing Irani to Jashodaben"m.newindianexpress.com। ১৮ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]