যশোদা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
যশোদা
রাজা রবি বর্মার আঁকা যশোদা এবং কৃষ্ণের ছবি
দেবনাগরীयशोदा
আবাসনন্দগ্রাম/গোকুল
সঙ্গীনন্দ গোপ

যশোদা সনাতন ধর্মীয় পুরাণ ও ইতিহাস অনুযায়ী নন্দ এর পত্নী এবং শ্রীকৃষ্ণর পালক মাতা। ভাগবত পুরাণ অনুসারে, দেবকীর পুত্র কৃষ্ণকে পিতা বসুদেব নন্দএবং তাঁর ধর্মপত্নী যশোদাকে দিয়েছিলেন।

যশোদা এবং শ্রীকৃষ্ণ[সম্পাদনা]

যশোদার সঙ্গে সম্বন্ধিত শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন বাল্যলীলার কথা জানা যায়, যার ভিতর শ্রীকৃষ্ণের মাতা যশোদাকে বিশ্বরূপের দর্শন করানোও অন্যতম। বেদব্যাসের মহাভারত-এ, মহাঋষি নারদ কর্তৃক বৃন্দাবন-এ শ্রীকৃষ্ণকে দর্শন করতে কথা লিখিত আছে।

একটি লীলায়, মাটি খাওয়ার জন্য মাতা যশোদা কৃষ্ণকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। এই ঘটনা দেখে নারদমুনি বলে উঠেছিলেন, "এন্না ঠাবাম্ সাইঢানাই, য়াশোডা", যার অর্থ তামিল ভাষায় "যশোদা, আপনি কি তপস্যা করেছিলেন, যে আপনি স্বয়ং নারায়ণকে দণ্ড দেওয়ার, আদর করার, পালন করার শক্তি লাভ করলেন"। কৃষ্ণ যশোদাকে মুখ খুলে দেখাতেই যশোদা সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের সাথে লক্ষ্মীসেবিত বিষ্ণুকে দর্শন করলেন। যশোদা মূর্ছিত হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে তাঁকে নারদ শ্রীকৃষ্ণের জীবনের সব সত্য তুলে ধরে।[১] অন্যান্য লীলার মধ্যে, কৃষ্ণের মাখন চুরি করে খাওয়া, কালীয় নাগ দমন করা, উদুখলে বন্ধনাবস্থায় যমলার্জুন উদ্ধার ইত্যাদি ঘটনায় যশোদার কৃষ্ণের প্রতি বাৎসল্য রসের মহিমা প্রকাশ পেয়েছে।[২]

দ্বাদশ শতকের, চোল রাজবংশের সময়ের একটি প্রতিমা: যশোদা এবং শ্রীকৃষ্ণ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]