যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কন্দোত্তিয়েরি জিওভান্নি দাল্লে বান্দে নেরে-র প্রতি স্মৃতিসৌধের অংশবিশেষ

যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতা বলতে সাধারণত যুদ্ধ, সশস্ত্র সংঘাত অথবা সামরিক দখলদারিত্বের সময় যোদ্ধাদের দ্বারা সংঘটিত ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন সহিংসতাকে বুঝানো হয়। সাধারণত যুদ্ধলব্ধ সামগ্রীর অংশ হিসেবে এটা ঘটে থাকে, তবে জাতিগত সংঘাতের ক্ষেত্রে এর বৃহত্তর সমাজতাত্ত্বিক উদ্দেশ্য থাকে। যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতায় গণধর্ষণ এবং বস্তুর সাহায্যে ধর্ষণও অন্তর্ভুক্ত হয়। এটি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘটিত যৌন সহিংসতার ঘটনা থেকে পৃথক[১][২][৩]। কোনো দখলদার শক্তি কর্তৃক দখলকৃত ভূখণ্ডের নারীদের পতিতাবৃত্তি কিংবা যৌন দাসত্বে বাধ্য করাটাও যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতার অন্তর্গত।

যুদ্ধ বা সশস্ত্র সংঘাতের সময় প্রায়ই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অংশ হিসেবে শত্রুকে অপমানিত করার উদ্দেশ্যে ধর্ষণকে অস্ত্রর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠিকে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য ধর্ষণকে ব্যবহার করা হলে সেটিকে গণহত্যা এবং জাতিগত নির্মূলকরণ হিসেবে গণ্য করা হয়। এ ধরনের অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির জন্য আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে, কিন্তু সবেমাত্র ১৯৯০-এর দশক থেকে এই আইনের ব্যবহার শুরু হয়েছে[৪]

উদাহরণ[সম্পাদনা]

মধ্য এশিয়ায় মোঙ্গল আক্রমণ[সম্পাদনা]

বাগদাদে মোঙ্গল আক্রমণ[সম্পাদনা]

ভারতবর্ষে তৈমুরের আক্রমণ[সম্পাদনা]

বুন্দেলখণ্ডে মুঘল আক্রমণ[সম্পাদনা]

১৬৩৫ সালে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বুন্দেলখণ্ড আক্রমণ ও দখল করেন। বুন্দেলখণ্ড দখলের পর বুন্দেলা রাজা বীর সিংহের পরিবারের নারীরা মুঘল বাহিনীর হাতে বন্দি হন[৫]। এসব বন্দি নারীদেরকে জোরপূর্বক ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয় এবং তারা মুঘল সৈন্য বা সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন[৫]

বিজাপুরে মুঘল আক্রমণ[সম্পাদনা]

নাদির শাহের ভারত আক্রমণ[সম্পাদনা]

বাংলায় মারাঠা আক্রমণ[সম্পাদনা]

১৭৪২ সাল থেকে ১৭৫১ সাল পর্যন্ত মারাঠা নেতা রঘুজীর সৈন্যরা ক্রমাগত বাংলা আক্রমণ করে। এসময় বাংলার অসংখ্য নারী মারাঠাদের দ্বারা ধর্ষিত হন। মারাঠারা বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সুন্দরী নারীদের অপহরণ ও ধর্ষণ করে[৬][৭]। অসংখ্য নারী মারাঠা সৈন্যদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়। সমসাময়িক সূত্রসমূহের বর্ণনানুযায়ী, মারাঠা সৈন্যরা হিন্দু নারীদের মুখে বালি ভরে দিত, তাঁদের হাত ভেঙ্গে দিত এবং পিছমোড়া করে বেঁধে তাদেরকে গণধর্ষণ করত[৬][৮]। সমসাময়িক বাঙালি কবি গঙ্গারাম বাংলার নারীদের ওপর মারাঠাদের অত্যাচারের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, তারা সুন্দরী নারীদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেত এবং দড়ি দিয়ে তাদের আঙ্গুলগুলো তাদের ঘাড়ের সঙ্গে বেঁধে দিত। একজন বর্গি (মারাঠা সৈন্য) একজন নারীর সম্ভ্রমহানি করার পরপরই আরেকজন বর্গি তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। এসব নারীরা যন্ত্রণায় চিৎকার করতেন। এইসব পাপপূর্ণ কার্যকলাপের পর তারা এসব নারীদেরকে মুক্ত করে দিত[৯]। সমসাময়িক বর্ধমানের মহারাজার রাজসভার পণ্ডিত বনেশ্বর বিদ্যালঙ্কারও মারাঠা সৈন্যদের সম্পর্কে লিখেছেন, তারা সমস্ত সম্পত্তি লুণ্ঠন করে এবং সতী স্ত্রীদের অপহরণ করে[১০]

ভারতে আফগান আক্রমণ (১৭৫৭)[সম্পাদনা]

১৭৫৭ সালে আফগান সম্রাট আহমদ শাহ আবদালী মু্ঘল-শাসিত ভারত আক্রমণ করেন। এসময় আফগান সৈন্যরা দিল্লিমথুরাসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে হাজার নারীকে ধর্ষণ করে এবং আরো বহুসংখ্যক নারীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়[১১]। সম্ভ্রমহানির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বহু নারী আত্মহত্যা করেন[১১]

ফ্রান্সের আলজেরিয়া দখল[সম্পাদনা]

বুলগেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ[সম্পাদনা]

একটি চিত্রকর্ম যেটিতে তুর্কি সৈন্যদের দ্বারা বুলগেরীয় নারীদের ধর্ষণ দেখানো হয়েছে

বক্সার বিদ্রোহ[সম্পাদনা]

বক্সার বিদ্রোহের সময় আট-জাতির জোটের সৈন্যরা চীনা জনসাধারণের বিরুদ্ধে ব্যাপক হারে হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণে লিপ্ত হয়। হাজার হাজার চীনা নারী আক্রমণকারী সৈন্যদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন, এবং আরো হাজার হাজার নারী ধর্ষণের শিকার হওয়া থেকে বাঁচার জন্য আত্মহত্যা করেন[১২]। জর্জ লিঞ্চ নামক একজন পশ্চিমা সাংবাদিক বলেন, এমন অনেককিছু আছে যেগুলো আমি লিখতে পারব না এবং যা হয়ত গ্রেট ব্রিটেনে ছাপা হবে না, কারণ এগুলো দেখাবে যে আমাদের পশ্চিমা সভ্যতা বর্বরতার ওপর একটি পাতলা আস্তরণ মাত্র[১৩]। লুয়েল্লা মাইনার লিখেছেন যে, রুশ ও ফরাসি সৈন্যদের আচরণ ছিল বিশেষভাবে নিষ্ঠুর। ফরাসি সেনাপতি ধর্ষণের ঘটনাগুলোকে তুচ্ছ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং সেগুলোকে ফরাসি সৈন্যদের বীরত্ব হিসেবে আখ্যা দেন[১৪]

রুশ—জাপান যুদ্ধ[সম্পাদনা]

১৯০৪–১৯০৫ সালে রুশ–জাপান যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধের অন্যতম প্রধান রণাঙ্গন ছিল চীন সাম্রাজ্যের মাঞ্চুরিয়া। এই যুদ্ধের সময় রুশ সৈন্যরা মাঞ্চুরিয়ায় বহু চীনা গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়, অসংখ্য চীনা নারীকে ধর্ষণ করে এবং যারা তাদের এসব কর্মকাণ্ডে বাধা দিয়েছিল তাদের মেরে ফেলে[১৫]

নামিবিয়ায় হেরেরো বিদ্রোহ[সম্পাদনা]

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ[সম্পাদনা]

ককেশাস রণাঙ্গন[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় চীন—জাপান যুদ্ধ[সম্পাদনা]

স্পেনের গৃহযুদ্ধ[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ[সম্পাদনা]

পোল্যান্ডে জার্মান আক্রমণ[সম্পাদনা]

১৯৩৯ সালে জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ ও দখল করে এবং ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত দেশটি জার্মান সামরিক দখলদারিত্বের অধীনে থাকে। এই সময়ে জার্মান সৈন্যরা অসংখ্য পোলিশ ইহুদি নারীকে ধর্ষণ করে[১৬]। এছাড়া জার্মান সৈন্যরা ইহুদি ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার পোলিশ নারীকেও ধর্ষণ করে। অসংখ্য পোলিশ নারীকে ধর্ষণের পর গুলি করে হত্যা করা হয়[১৭]

সোভিয়েত ইউনিয়নে জার্মান আক্রমণ[সম্পাদনা]

১৯৪১ সালের ২২ জুন জার্মানি এবং এর মিত্ররাষ্ট্রসমূহ (ইতালি, রুমানিয়া, হাঙ্গেরি ও অন্যান্য রাষ্ট্র) অতর্কিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করার পর সোভিয়েত সশস্ত্রবাহিনীতে কর্মরত হাজার হাজার মহিলা ডাক্তার, সেবিকা এবং ফিল্ড মেডিক আগ্রাসী সৈন্যদের হাতে বন্দি হন। তারা জার্মান ও অন্যান্য আক্রমণকারী সৈন্যদের দ্বারা ধর্ষিত হন, এবং প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ধর্ষণের পর তাদেরকে হত্যা করা হয়[১৮]। এছাড়া জার্মান সৈন্যরা সোভিয়েত ইউনিয়নে তাদের দখলকৃত অঞ্চলসমূহে অসংখ্য বেসামরিক নারীকে ধর্ষণ করে। জার্মান সৈন্যরা বন্দি সোভিয়েত নারী মুক্তিযোদ্ধাদের এবং অন্যান্য নারীদের দেহে হিটলারের সৈন্যদের যৌনদাসী শব্দগুচ্ছ লিখে দিত এবং তাদেরকে ধর্ষণ করত[১৯]। পরবর্তীতে সোভিয়েত সৈন্যদের হাতে বন্দি হওয়ার পর কিছু জার্মান সৈন্য সোভিয়েত নারীদের ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যায় অংশ নেয়ার বিষয়ে গর্ব করেছিল[২০]

জার্মান সৈন্যরা ইহুদি ও স্লাভ জাতিভুক্ত মানুষদেরকে তাদের তুলনায় নিচুশ্রেণির বলে মনে করত, এবং এজন্য এসব জাতির নারীদের ধর্ষণ করাকে তারা অপরাধ বলে মনে করত না[২১]। তারা ধর্ষণকে দখলকৃত অঞ্চলের অধিবাসীদের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল[২২]

সোভিয়েত ইউনিয়নের স্মোলেনস্ক শহরে জার্মান দখলদার বাহিনী একটি পতিতালয় খুলেছিল, যেখানে শত শত বন্দি সোভিয়েত নারীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হত[২৩]লভিভ শহরে একটি পার্কে জার্মান সৈন্যরা একটি পোশাক কারখানার ৩২ জন নারী শ্রমিককে জনসম্মুখে ধর্ষণ করে। একজন পাদ্রী তাদের অপকর্মে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তারা তাকে হত্যা করে। বারিসাভ শহরে অগ্রসরমান জার্মান সৈন্যদের কাছ থেকে পলায়নরত ৭৫ জন নারী জার্মান সৈন্যদের হাতে বন্দি হন। জার্মান সৈন্যরা তাদেরকে ধর্ষণ করে এবং এরপর তাদের মধ্যে থেকে ৩৬ জনকে হত্যা করে। এছাড়া হাম্মার নামক একজন জার্মান অফিসারের নির্দেশে জার্মান সৈন্যরা এল. আই. মেলচুকোভা নাম্নী ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর অন্য যেসব মহিলাকে জঙ্গলের মধ্যে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদের সামনে মেলচুকোভার স্তন কেটে ফেলা হয়। কের্চ শহরে জার্মান সৈন্যরা বন্দি নারীদের ওপর বর্বর নির্যাতন ও ধর্ষণ চালায়, তাদের স্তন কেটে ফেলে, পেট চিরে ফেলে, হাত ছিঁড়ে নেয় এবং চোখ উপড়ে ফেলে। পরবর্তীতে সোভিয়েত সৈন্যরা শহরটি মুক্ত করার পর সেখানে তরুণী মেয়েদের ছিন্নভিন্ন দেহে পরিপূর্ণ একটি গণকবর পাওয়া যায়[২৪]

বিশেষজ্ঞদের ধারণামতে, জার্মানির সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণকালে এক কোটিরও বেশি সংখ্যক সোভিয়েত নারী জার্মান সৈন্যদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন এবং এর ফলে ৭,৫০,০০০ থেকে ১০,০০,০০০ যুদ্ধশিশুর জন্ম হয়[২৫]:৫৬ [২৬][২৭][২৮]

ইতালিতে মিত্রশক্তির আক্রমণ[সম্পাদনা]

পোল্যান্ডে সোভিয়েত অভিযান[সম্পাদনা]

১৯৪৪ সালে সোভিয়েত বাহিনী পোল্যান্ড থেকে দখলদার জার্মান বাহিনীকে বিতাড়িত করে সাময়িকভাবে পোল্যান্ড দখল করে। এসময় সোভিয়েত সৈন্যরা অসংখ্য পোলিশ নারীকে ধর্ষণ ও করে[২৯][৩০][৩১][৩২]। ১৯৪৪–১৯৪৭ সালে এক লক্ষেরও বেশি পোলিশ নারী সোভিয়েত সৈন্যদের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়[৩৩]

ফ্রান্সে মিত্রশক্তির অভিযান[সম্পাদনা]

যুগোস্লাভিয়ায় সোভিয়েত অভিযান[সম্পাদনা]

হাঙ্গেরিতে সোভিয়েত আক্রমণ[সম্পাদনা]

১৯৪৫ সালে অগ্রসরমান সোভিয়েত সৈন্যরা হাঙ্গেরি দখল করে। এসময় প্রায় ২,০০,০০০ হাঙ্গেরীয় নারী সোভিয়েত সৈন্যদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন[৩৪][৩৫][৩৬]। হাঙ্গেরীয় মেয়েদের অপহরণ করে সোভিয়েত সেনাঘাঁটিগুলোতে নিয়ে যাওয়া হত, যেখানে তাদের বারবার ধর্ষণ করা হত এবং কখনো কখনো হত্যা করা হত[৩৭]। সোভিয়েত সৈন্যরা এমনকি বুদাপেস্টে অবস্থিত নিরপেক্ষ দেশগুলোর দূতাবাস কর্মীদেরও গ্রেপ্তার ও ধর্ষণ করে, উদাহরণস্বরূপ, সোভিয়েত সৈন্যরা শহরটিতে অবস্থিত সুইডিশ দূতাবাসে আক্রমণ চালিয়ে দূতাবাসের একজন নারী কর্মীকে ধর্ষণ করেছিল[৩৮]

জার্মানিতে সোভিয়েত আক্রমণ[সম্পাদনা]

জার্মানিতে মিত্রশক্তির আক্রমণ[সম্পাদনা]

জাপানে মিত্রশক্তির আক্রমণ[সম্পাদনা]

অস্ট্রিয়ায় সোভিয়েত আক্রমণ[সম্পাদনা]

১৯৪৫ সালের এপ্রিলে সোভিয়েত সৈন্যরা জার্মান-অধিকৃত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা দখল করে। ভিয়েনা দখলের পরপরই সোভিয়েত সৈন্যরা শহরটিতে অসংখ্য অস্ট্রীয় নারীকে ধর্ষণ করে[৩৯][৪০]

মাঞ্চুরিয়ায় সোভিয়েত আক্রমণ[সম্পাদনা]

ভারত—পাকিস্তান যুদ্ধ (১৯৪৭—১৯৪৯)[সম্পাদনা]

হায়দারাবাদে ভারতীয় আক্রমণ[সম্পাদনা]

১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় সেনাবাহিনী হায়দারাবাদ আক্রমণ ও দখল করে। হায়দারাবাদ দখলের পর ভারতীয় সৈন্যরা বহুসংখ্যক স্থানীয় মুসলিম নারীকে ধর্ষণ করে[৪১]। ভারতীয় সেনাবাহিনী হায়দারাবাদে ধর্ষণকে যুদ্ধের একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল[৪২]। হাজার হাজার ভারতীয় সৈন্য হায়দারাবাদের গ্রামগুলোর ওপর চড়াও হত এবং নারীদের ধর্ষণ করত। ভারতীয় সৈন্য হাজির হয়েছিল এমন প্রতিটি গ্রামে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল[৪২][৪৩][৪৪][৪৫]। একটি ঘটনায় ৬ থেকে ৭ হাজার ভারতীয় সৈন্য ও পুলিশ বরাঙ্গল জেলার গ্রামগুলোতে হানা দেয় এবং তিন শত নারীকে ধর্ষণ করে। এদের মধ্যে ৪০ জনকে গণধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়[৪৬][৪৭]

আরব—ইসরায়েল যুদ্ধ (১৯৪৮—১৯৪৯)[সম্পাদনা]

কোরীয় যুদ্ধ[সম্পাদনা]

দক্ষিণ কোরীয় ও মার্কিন সৈন্যদের হাতে বন্দি উত্তর কোরীয় নার্সগণ। মার্কিন সৈন্যরা কখনো কখনো বন্দি উত্তর কোরীয় নারীদের ধর্ষণ করত[৪৮]

কোরীয় যুদ্ধ চলাকালে দক্ষিণ কোরীয় সৈন্যরা কমিউনিস্টদের প্রতি সহানুভূতিশীল দক্ষিণ কোরীয় নারীদের ধর্ষণ করত। পরবর্তীতে মার্কিন ও অন্যান্য জাতিসংঘ বাহিনীর সৈন্যরাও বন্দি উত্তর কোরীয় নারীদের ধর্ষণে লিপ্ত হয়। অন্যদিকে, ১৯৫২ সালের ১১ মাসব্যাপী সময়ে উত্তর কোরিয়ায় অবস্থানরত ১,১০,০০০ সদস্যবিশিষ্ট চীনা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর ৪১ জন সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল[৪৯]

আলজেরীয় যুদ্ধ[সম্পাদনা]

ভিয়েতনাম যুদ্ধ[সম্পাদনা]

ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন সৈন্যরা ভিয়েতনামী নারীদের ওপর ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল[৫০][৫১]

পশ্চিম পাপুয়ায় ইন্দোনেশীয় আক্রমণ[সম্পাদনা]

পশ্চিম পাপুয়ায় ইন্দোনেশীয় আক্রমণের ফলে প্রায় ৩,০০,০০০ থেকে ৪,০০,০০০ পশ্চিম পাপুয়ান নিহত হয় এবং অসংখ্য নারী ইন্দোনেশীয় সৈন্যদের হাতে ধর্ষিত হন[৫২]

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের সহযোগী আধা-সামরিক বাহিনীগুলোর সদস্যরা ২,০০,০০০[৫৩]—৪,০০,০০০[৫৪] বাঙালি নারীকে ধর্ষণ করে।

সাইপ্রাসে তুর্কি আক্রমণ[সম্পাদনা]

১৯৭৪ সালে তুরস্ক কর্তৃক সাইপ্রাস আক্রমণের সময় তুর্কি সৈন্যরা এবং তুর্কি সাইপ্রিয়টরা বহুসংখ্যক গ্রিক সাইপ্রিয়ট নারীকে ধর্ষণ করেছিল[৫৫]

পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশীয় আক্রমণ[সম্পাদনা]

১৯৭৫ সালে ইন্দোনেশিয়া পূর্ব তিমুর আক্রমণ ও দখল করে এবং ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সেখানে ইন্দোনেশীয় দখলদারিত্ব অব্যাহত থাকে। এসময় হাজার হাজার পূর্ব তিমুরীয় নারী ইন্দোনেশীয় সৈন্য ও পুলিশদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। পূর্ব তিমুরীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের স্ত্রী, নারী বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নারী সহযোগীরা ছিলেন ধর্ষিত নারীদের একটি বড় অংশ। অনেক সময় ইন্দোনেশীয় সৈন্য বা পুলিশরা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের না পেয়ে তাদের স্ত্রী, বোন বা অন্যান্য নারী আত্মীয়দের ধর্ষণ করত[৫৬]। বন্দি নারীদের অর্ধনগ্ন করে তাদের ওপর নির্যাতন ও ধর্ষণ চালানো হত এবং তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হত[৫৭]। বহু নারীকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে বন্দি করে রেখে বারবার ধর্ষণ করা হত[৫৮]

পার্বত্য চট্টগ্রাম সংঘাত[সম্পাদনা]

পার্বত্য চট্টগ্রাম সংঘাত চলাকালে ১৯৮১ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশি সৈন্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামের ২,৫০০-এরও বেশি সংখ্যক উপজাতীয় নারীকে ধর্ষণ করে। কবিতা চাকমা এবং গ্লেন হিলের মতে, উপজাতীয় নারীদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার মাত্রা ব্যাপক[৫৯]। সংঘাত চলাকালে বাংলাদেশি নিরাপত্তারক্ষীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষণকে যুদ্ধের একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছে[৬০]

আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণ[সম্পাদনা]

১৯৭৯—১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান দখলকালে সোভিয়েত সৈন্যরা অসংখ্য আফগান নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করে[৬১]। যেসব নারী সোভিয়েত সৈন্যদের দ্বারা অপহৃত ও ধর্ষিত হন, তারা বাড়ি ফিরলে তাদের পরিবার তাদেরকে 'অসম্মানিত' হিসেবে বিবেচনা করে এবং তারা সামাজিক লাঞ্ছনার শিকার হন[৬২][৬৩]

ইরাক—ইরান যুদ্ধ[সম্পাদনা]

১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে ইরাকইরানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় এবং নভেম্বরে ইরাকি বাহিনী ইরানের খুজেস্তান প্রদেশের খুররমশহর দখল করে নেয়। এসময় ইরাকি সৈন্যরা বহুসংখ্যক ইরানি নারীকে ধর্ষণ করে।

শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় সামরিক হস্তক্ষেপ[সম্পাদনা]

১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কায় চলমান গৃহযুদ্ধে ভারত সামরিক হস্তক্ষেপ করে এবং দেশটির বিদ্রোহী তামিল দলগুলোকে নিরস্ত্র করার জন্য দেশটিতে 'ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী' মোতায়েন করে। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত চলমান তিন বছরব্যাপী এই অভিযানকালে ভারতীয় সৈন্যরা অসংখ্য শ্রীলঙ্কান তামিল নারীকে ধর্ষণ করে[৬৪][৬৫][৬৬]

আফগান গৃহযুদ্ধ (১৯৮৯—১৯৯২)[সম্পাদনা]

কাশ্মীর সংঘাত[সম্পাদনা]

কুয়েতে ইরাকি আক্রমণ[সম্পাদনা]

১৯৯০ সালে ইরাক কুয়েত আক্রমণ ও দখল করে এবং ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দখল করে রাখে। এসময় প্রায় ৫,০০০ কুয়েতি নারী ইরাকি সৈন্যদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন[৬৭]

উপসগারীয় যুদ্ধ[সম্পাদনা]

১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধ চলাকালে মার্কিন বিমানবাহিনীর ফ্লাইট সার্জন (পরবর্তীতে জেনারেল) রোন্ডা কর্নাম একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরাকি বাহিনীর হাতে বন্দি হন। বন্দি অবস্থায় তিনি ইরাকি সৈন্যদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হন[৬৮]

আফগান গৃহযুদ্ধ (১৯৯২—১৯৯৬)[সম্পাদনা]

১৯৯৫ সালের প্রথমদিকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কর্তৃত্ব নিয়ে আফগান সরকার ও অন্যান্য দলের মধ্যে যুদ্ধ হয়। দলের যোদ্ধারা কাবুলের হাজার হাজার নারীকে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ করে[৬৯]

রুয়ান্ডার গৃহযুদ্ধ[সম্পাদনা]

সিয়েরা লিয়নের গৃহযুদ্ধ[সম্পাদনা]

১৯৯১ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে সংঘটিত সিয়েরা লিয়নের গৃহযুদ্ধের সময় ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব এবং জোরপূর্বক বিবাহ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা[৭০]। বিদ্রোহী আরইউএফ দলের সদস্যরা অধিকাংশ ধর্ষণের জন্য দায়ী ছিল। এছাড়া এএফআরসি, সিডিএফ এবং সিয়েরা লিয়ন সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধর্ষণে লিপ্ত হয়েছিল। আরইউএফ সদস্যরা বহুসংখ্যক নারীকে অপহরণ করে যৌনদাসী কিংবা যোদ্ধা হিসেবে ব্যবহার করে। এছাড়া আরইউএফ সদস্যরা প্রায়ই বেসামরিক নারীদের ধর্ষণ করত[৭১]। আরইউএফ-এর নারী সদস্যরা বাহিনীটির পুরুষ সদস্যদের যৌনসেবা দিতে বাধ্য ছিল। গণধর্ষণ এবং একক ধর্ষণ ছিল দৈনন্দিন ঘটনা[৭২]। পিএইচআর-এর প্রতিবেদন অনুসারে, এই যুদ্ধের সময় সংঘটিত ধর্ষণের ৯৩ শতাংশ আরইউএফ সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল[৭৩]। এক হিসাব অনুযায়ী, সিয়েরা লিয়নের গৃহযুদ্ধের সময় ২,১৫,০০০ থেকে ২,৫৭,০০০ নারী ধর্ষিত হন[৭৪][৭৫][৭৬]

বসনীয় যুদ্ধ[সম্পাদনা]

প্রথম চেচেন যুদ্ধ[সম্পাদনা]

আফগান গৃহযুদ্ধ (১৯৯৬—২০০১)[সম্পাদনা]

কসোভো যুদ্ধ[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধ[সম্পাদনা]

ইরাক যুদ্ধ[সম্পাদনা]

ইরাকের গৃহযুদ্ধ[সম্পাদনা]

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ[সম্পাদনা]

উত্তর রাখাইন সংঘাত[সম্পাদনা]

২০১৬—১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের ফলশ্রুতিতে মিয়ানমার সৈন্যরা রোহিঙ্গা জনসাধারণের বিরুদ্ধে 'শুদ্ধি অভিযান' আরম্ভ করে। এসময় হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী মিয়ানমার সৈন্যদের হাতে ধর্ষণ, গণধর্ষণযৌন হয়রানির শিকার হন[৭৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ""30% of Women in USA Military Raped Whilst Serving by Fellow Soldiers""। ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৭ 
  2. Benedict, Helen (২০০৯-০৫-০৬)। "The Nation: The Plight of Women Soldiers"। Npr.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-৩০ 
  3. Benedict, Helen (২০০৮-০৮-১৩)। "Why Soldiers Rape – Culture of misogyny, illegal occupation, fuel sexual violence in military"। Inthesetimes.com। ২০১৯-০৫-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-৩০ 
  4. Mobilizing the Will to Prosecute: Crimes of Rape at the Yugoslav and Rwandan Tribunal[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. Sir Jadunath Sarkar, History of Aurangzib (Volume I), p. 27
  6. "Bajirao the great Hindu Nationalist - that's only in the movies" 
  7. Gargi Chattopadhyay, (The River and the Raiders: Bengal, c. 1600—1800), p. 42—43
  8. Jadunath Sarkar"Fall Of The Mughal Empire" 
  9. Sir Jadunath Sarkar, (Fall of the Mughal Empire), p. 54
  10. Sir Jadunath Sarkar, (Fall of the Mughal Empire), p. 55
  11. Sir Jadunath Sarkar, Fall of the Mughal Empire (Volume II), p. 103
  12. Joanna Waley-Cohen (২০০০)। The Sextants of Beijing: Global Currents in Chinese History। W. W. Norton & Company। পৃষ্ঠা 201। আইএসবিএন 0-393-32051-0। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-৩১ 
  13. Diana Preston (২০০০)। The boxer rebellion: the dramatic story of China's war on foreigners that shook the world in the summer of 1900। Bloomsbury Publishing USA। পৃষ্ঠা 285। আইএসবিএন 0-8027-1361-0। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-৩১ 
  14. Diana Preston (২০০০)। The boxer rebellion: the dramatic story of China's war on foreigners that shook the world in the summer of 1900। Bloomsbury Publishing USA। পৃষ্ঠা 284। আইএসবিএন 0-8027-1361-0। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-৩১ 
  15. Jukes, Geoffrey The Russo-Japanese War 1904–1905, London: Osprey 2002 page 84
  16. Datner 1967, p. 67: "Zanotowano szereg faktów gwałcenia kobiet i dziewcząt żydowskich" ("Numerous cases of rapes against Jewish women and girls were reported")
  17. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Obozy podlegle organom policyjnym নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  18. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; SDatner নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  19. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; seifert1992 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  20. Fleischhauer, Jan (৮ এপ্রিল ২০১১)। "Nazi War Crimes as Described by German Soldiers"Spiegel Online। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১১ 
  21. War and Rape: Law, Memory, and Justice by Nicola Henry page 30, Routledge
  22. Against Our Will: Men, Women, and Rape Susan Brownmiller, page 53
  23. War and Rape: Law, Memory, and Justice by Nicola Henry pages 30-32, Routledge
  24. The Geometry of Genocide: A Study in Pure Sociology by Bradley Campbell
  25. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Wendy নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  26. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; implementing নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  27. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; gegenwind নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  28. Grossmann, Atina। Jews, Germans, and Allies: Close Encounters in Occupied Germany। পৃষ্ঠা 290। 
  29. Grzegorz Baziur, "Armia Czerwona na Pomorzu Gdańskim 1945–1947" Biuletyn Instytutu Pamięci Narodowej" 2002, nr 7
  30. Janusz Wróbel, "Wyzwoliciele czy Okupanci. Żołnierze Sowieccy w Łódzkim 1945–1946" Biuletyn Instytutu Pamięci Narodowej 2002, nr 7.
  31. Łukasz Kamiński "Obdarci,głodni,żli, Sowieci w oczach Polaków 1944–1948" Biuletyn Instytutu Pamięci Narodowej 2002, nr 7
  32. Mariusz Lesław Krogulski, "Okupacja w imię sojuszu" Poland 2001.
  33. Joanna Ostrowska; Marcin Zaremba (২০০৯-০৩-০৭)। ""Kobieca gehenna" (The women's ordeal)"No 10 (2695) (পোলিশ ভাষায়)। Polityka। পৃষ্ঠা 64–66। মার্চ ২৩, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২১, ২০১১ 
  34. Bessel, Richard; Dirk Schumann (২০০৩)। Life after Death: Approaches to a Cultural and Social History of Europe। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 132। আইএসবিএন 0-521-00922-7 
  35. Ungvary, Krisztian (২০০৫)। The Siege of Budapest। New Haven: Yale University Press। পৃষ্ঠা 348–350। আইএসবিএন 0-300-10468-5 
  36. James, Mark (২০০৫)। "Remembering Rape: Divided Social Memory and the Red Army in Hungary 1944–1945"Past & Present। Oxford University Press। 188 (August 2005): 133–161। আইএসএসএন 1477-464Xডিওআই:10.1093/pastj/gti020 
  37. Naimark, Norman M. (১৯৯৫)। The Russians in Germany: A History of the Soviet Zone of Occupation, 1945–1949। Cambridge: Belknap। পৃষ্ঠা 70–71। আইএসবিএন 0-674-78405-7 
  38. Birstein, Vadim (৩ মে ২০০২)। "Johnson's Russia List"। জানুয়ারি ৯, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-১১What makes this particular memoir unusual is that Soviet officials confirmed at the diplomatic level one of his descriptions – the rape of a woman servant at the Swedish Legation 
  39. Petrov 2009, p. 258.
  40. Eisterer, p. 194.
  41. "27,000 Massacred, the Bloody Price of 'Liberation': Hyderabad 1948"। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  42. Custers, Peter (১৯৮৭)। Women in the Tebhaga Uprising: Rural Poor Women and Revolutionary Leadership: 1946-1947। Calcutta: Naya Prokash। পৃষ্ঠা 158। আইএসবিএন 9788185109657 
  43. Sundarayya, Puchalpalli (১৯৭২)। Telengana People's Struggle and Its Lessons। Foundation Books। পৃষ্ঠা 140। আইএসবিএন 9788175963160 
  44. Benichou, Lucien (২০০০)। From Autocracy to Integration: Political Developments in Hyderabad State, 1938-1948। Orient Blackswan। পৃষ্ঠা 238। আইএসবিএন 9788125018476 
  45. Sundarayya, Puccalapalli (১৯৭২)। Telangana People's Struggle and Its Lessons। Foundation Books। পৃষ্ঠা 148। আইএসবিএন 9788175963160 
  46. Sundarayya, Puchalpalli (১৯৭২)। Telengana People's Struggle and Its Lessons। Foundation Books। পৃষ্ঠা 256–7। আইএসবিএন 9788175963160 
  47. Sundarayya, Puchalpalli (১৯৭২)। Telengana People's Struggle and Its Lessons। Foundation Books। পৃষ্ঠা 257। আইএসবিএন 9788175963160 
  48. 한국군 '특수위안대'는 사실상의 공창 창간 2주년 기념 발굴특종 한국군도 '위안부' 운용했다Ohmynews (Korean ভাষায়)। ২০০২-০২-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-০৫ 
  49. 十一万人的志愿军后勤部队中,从1952年一月到十一月中,共发生自杀一百零九人,自伤的三十九人,逃亡的六百八十七人,汽车肇事压死的八十一人,压伤的九十四人,误伤的一百零八人,强奸的四十一人,通奸的五百一十四人,鸡奸的一百五十人。"金盾出版社1986年7月1版《抗美援朝战争后勤经验总结 资料选编综合类下册(Lessons About Logistics in Resist US and Aid Korea War: Comprehensive Selected Materials Vol.2)》,P427
  50. "Murder in the name of war - My Lai"। BBC। ২০ জুলাই ১৯৯৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-০২ 
  51. "Casualties of War"The New Yorker। ১৮ অক্টোবর ১৯৬৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৫ 
  52. Congressional Record, V. 151, Pt. 12, July 14 to July 22, 2005
  53. Saikia 2011b, পৃ. 157।
  54. Riedel 2011, পৃ. 10।
  55. "The terrible secrets of the Turkish invasion of Cyprus"। ৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৭ 
  56. CAVR, p. 118
  57. Winters, pp. 11–12.
  58. Winters, pp. 24–26.
  59. Chakma, Kabita; Glen Hill (2013). Kamala Visweswaran, ed. Everyday Occupations: Experiencing Militarism in South Asia and the Middle East. University of Pennsylvania Press. p. 144. ISBN 978-0812244878
  60. Begovich, Milica (২০০৭)। Karl R. DeRouen, Uk Heo, সম্পাদক। Civil Wars of the World (ইংরেজি ভাষায়) (1st সংস্করণ)। ABC-CLIO। পৃ: ১৬৯। ISBN 978-1851099191
  61. Kakar, M. Hassan (১৯৯৫)। The Soviet Invasion and the Afghan Response, 1979–1982। University of California Press। আইএসবিএন 9780520208933দেশটিতে যখন সামরিক অভিযান চলছিল, তখন নারীরা অপহৃত হন। মুজাহিদিনদের সন্ধান করার সময় হেলিকপ্টারগুলো আফগান নারীদের দেখতে পেলে শস্যক্ষেত্রে অবতরণ করত। আফগান নারীরা প্রধানত গৃহস্থালির কাজ করলেও তাঁরা ক্ষেতের কাজও নিজেরা করেন অথবা কাজে স্বামীদের সাহায্য করেন। রুশরা এসব নারীদের অপহরণ করে নিয়ে যেত। ১৯৮০ সালের নভেম্বরের মধ্যে লাঘমান ও কামাসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের অনেকগুলো ঘটনা ঘটে। কাবুল শহরেও সাধারণত সন্ধ্যার পর রুশরা নারীদের অপহরণ করত এবং ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য সাঁজোয়া যানে নিয়ে যেত। প্রধানত দারুল আমান ও খাইর খান অঞ্চলে সোভিয়েত সেনানাবাসগুলোর কাছে এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটে। 
  62. The War Chronicles: From Flintlocks to Machine Guns। Fair Winds। পৃষ্ঠা 393। আইএসবিএন 9781616734046সোভিয়েতরা মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে যে সর্বশেষ অস্ত্রটি প্রয়োগ করে সেটি হলো আফগান নারীদের অপহরণ। হেলিকপ্টারে আসীন সৈন্যরা পুরুষদের অনুপস্থিতিতে শস্যক্ষেত্রে কাজ করা আফগান নারীদের খুঁজে বেড়াত, অবতরণ করত এবং সেসব নারীদের বন্দি করে নিয়ে যেত। কাবুল শহরেও রুশ সৈন্যরা তরুণী মেয়েদের অপহরণ করত। এসবের উদ্দেশ্য ছিল ধর্ষণ, তবে মাঝে মাঝে অপহৃত নারীদের মেরেও ফেলা হত। যেসব নারী বাড়ি ফিরতেন তাঁদের অসম্মানিত বিবেচনা করা হত। 
  63. Sciolino, Elaine (আগস্ট ৩, ১৯৮৪)। "4 Soviet Deserters Tell Of Cruel Afghanistan War"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  64. NorthEast Secretariat report on Human rights 1974 - 2004 (see Further Reading section).
  65. Ghosh, P. A. (১৯৯৯-০১-০১)। Ethnic Conflict in Sri Lanka and Role of Indian Peace Keeping Force (IPKF) (ইংরেজি ভাষায়)। APH Publishing। পৃষ্ঠা 147। আইএসবিএন 9788176481076 
  66. Bandarage, Asoka (২০০৮-১১-১৯)। The Separatist Conflict in Sri Lanka: Terrorism, Ethnicity, Political Economy (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 17। আইএসবিএন 9781135970857 
  67. "EJIL Issue: Issue Vol. 5 (1994) No. 1"। Ejil.org। ২০১৩-১২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-৩০ 
  68. "A Woman's Burden"Time magazine। ২৮ মার্চ ২০০৩। ৪ এপ্রিল ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  69. Afghanistan Justice Project (2005), p. 63.
  70. Oosterveld 2013, পৃ. 235।
  71. Wood 2013, পৃ. 145।
  72. Denov 2010, পৃ. 109।
  73. Mustapha 2003, পৃ. 42।
  74. Simpson 2013
  75. Reis 2002, পৃ. 17–18।
  76. Cohen 2013, পৃ. 397।
  77. https://bangla.bdnews24.com/u_41307b3b09f77d1ea53fb7b51dd6d3896010bb3-/bangladesh/article1394182.bdnews?iorg_service_id_internal=1462586827368018%3BAfo4OdglVc6-7hSP[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]