সুনামগঞ্জ জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৫°১′৫১″ উত্তর ৯১°২৪′১৪″ পূর্ব / ২৫.০৩০৮৩° উত্তর ৯১.৪০৩৮৯° পূর্ব / 25.03083; 91.40389
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুনামগঞ্জ
জেলা
উপরে-বাম থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: পাগলা জামে মসজিদ, কালিরদ্বীপ বিল, সুরমা নদী কাছে জামালগঞ্জ, টাঙ্গুয়ার হাওর, টেকেরঘাট পাহাড়
বাংলাদেশে সুনামগঞ্জ জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে সুনামগঞ্জ জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৫°১′৫১″ উত্তর ৯১°২৪′১৪″ পূর্ব / ২৫.০৩০৮৩° উত্তর ৯১.৪০৩৮৯° পূর্ব / 25.03083; 91.40389 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলা পরিষদসুনামগঞ্জ জেলা
সরকার
 • চেয়ারম্যাননুরুল হুদা মুকুট (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ)
আয়তন
 • মোট৩,৭৪৭.১৮ বর্গকিমি (১,৪৪৬.৭৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০২২)[১]
 • মোট২৬,৯৫,৪৯৫
 • জনঘনত্ব৭২০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৩৫%[২]
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩০০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৯০
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

সুনামগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে সুনামগঞ্জ বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।[৩] কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক তথ্যাবলি থেকে অনুমান করা হয় যে, সুনামগঞ্জ জেলার সমগ্র অঞ্চল প্রাচীন কামরূপ বা প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। জনৈক মোঘল সিপাহি সুনামুদ্দির নামে সুনামগঞ্জের নামকরণ করা হয়। ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে সুনামগঞ্জকে মহকুমায় এবং ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে জেলায় উন্নীত করা হয়।[৪]

নামকরণ[সম্পাদনা]

‘সুনামদি’ নামক জনৈক মোগল সিপাহীর নামানুসারে সুনামগঞ্জের নামকরণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ‘সুনামদি’ (সুনাম উদ্দিনের স্থানীয় সিলেটি উচ্চারণ) নামক উক্ত মোগল সৈন্যের কোন এক যুদ্ধে বীরোচিত কৃতিত্বের জন্য সম্রাট কর্তৃক সুনামদিকে এখানে কিছু ভূমি পুরস্কার হিসাবে দান করা হয়। তার দানস্বরূপ প্রাপ্ত ভূমিতে তারই নামে সুনামগঞ্জ বাজারটি স্থাপিত হয়েছিল। এভাবে সুনামগঞ্জ নামের ও স্থানের উৎপত্তি হয়েছিল বলে মনে করা হয়ে থাকে।[৫]

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

উত্তরে ভারতের মেঘালয়, পূর্বে সিলেট জেলা, দক্ষিণে হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে নেত্রকোণা জেলাকিশোরগঞ্জ জেলা

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রাচীনকাল থেকে বহু ভাষাভাষী জাতি, বর্ণ ও ধর্ম নিয়ে বেড়ে উঠেছে সার্বভৌম বাংলাদেশের বর্তমান সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ অঞ্চল । পৌরাণিক যুগে প্রাচীন কামরূপ বা প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল সুনামগঞ্জ । সুনামগঞ্জের লাউড় পর্বতে কামরূপ রাজ্যের উপরাজধানী স্থাপন করেছিলেন রাজা ভগদত্ত । রাজা ভগদত্তের শাসনামলে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলাসহ বাংলাদেশের ঢাকা এবং ময়মনসিংহ জেলার মধ্যবর্তী অঞ্চল লাউড় রাজ্যের অধীন শাসিত হত । লাউড়ের গড়ের ভগ্নাবশেষ আজও অত্র অঞ্চলে বিদ্যমান, যা রাজা ভগদত্তের বাড়ি বলে জনশ্রুতিতে ব্যক্ত ।[৬] লাউড় রাজ্যের চতুসীমা ছিল পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ, পূর্বে জৈন্তিয়া, উত্তরে কামরূপ সীমান্ত ও দক্ষিণে বর্তমানে ব্রাম্মণবাড়িয়া পর্যন্ত। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এই লাউড় রাজ্যের প্রাচীন নিদর্শন হাওলি প্রকৃতপক্ষে ছিল রাজবাড়ী। এ রাজ্যে স্থপতি রাজা ভগদত্তের ১৯ জন বংশধর সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে রাজ্য স্থাপন করে। ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে প্রাচীন লাউড় রাজ্য কামরূপ রাজ্য থেকে আলাদা হয়। দশম শতক থেকে স্বাধীনভাবে রাজ্য শাসন শুরু হয় । মহাভারতের যুদ্ধে অর্জুনের পক্ষে লড়তে গিয়ে নিহত হন রাজা ভগদত্ত। দ্বাদশ শতাব্দীতে রাজা বিজয় মাণিক্য লাউড় রাজ্য শাসন করেন। দ্বাদশ শতাব্দীর শেষে তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরেও রাজ্য স্থাপন করেন। এ সময় বঙ্গের ব্রাহ্মণরা বল্লাল সেনের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে রাজা বিজয় মাণিক্যের রাজ্যে এসে আশ্রয় নেন। বিজয় মাণিক্যের পর কারা লাউড় শাসন করে তা এখনো অজানা। তেরশত শতাব্দীর পর চৌদ্দ'শ সালের প্রথমার্ধে কাত্যায়ন গোত্রিয় দিব্য সিংহ নামে নৃপতি লাউড়ে রাজত্ব করেন। তখন লাউড়ের রাজধানী নবগ্রামে স্থানান্তর হ্য়। এ সময় লাউড় এবং জগন্নাথপুর রাজ্য অনেক জ্ঞানী পুরুষের আবির্ভাবে প্রফুল্লিত হয়েছিল। রাজ্যের রাজমন্ত্রী কুবেরাচার্য ছিলেন একজন সুপণ্ডিত ব্যক্তি। যার জ্ঞানের চর্চা ভারতবর্ষের অন্যতম বিদ্যাপীঠ নবদ্বীপ পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত ছিল। এছাড়া উক্ত রাজ্যের নবগ্রামে মাধবেন্দ্রপুরী নামে আরেক জন জ্ঞানী সাধু পুরুষ বসবাস করতেন। এই মাদেবন্দ্রপুরির কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণ করে লাউড়ের যুবরাজ রমানাথ বা রামা ও মন্ত্রীতনয় অদ্বৈত্যেচার্য সারা ভারতবর্ষে স্মরণীয় হয়ে আছেন। রমানাথ সিংহ উপযুক্ত হলে রাজা দিব্য সিংহ রাজ্যভার তার পুত্র রমানাথকে দিয়ে, শান্তি সাধনায় তিনি তার মন্ত্রীতনয় অদ্বৈত্যের আখড়া শান্তিপুরে চলে যান। সেখানে থেকে অদ্বৈত্যের উপদেশে বৈষ্ণবীধর্ম গ্রহণ করেন এবং সাহিত্য চর্চায় মনোযুগী হয়ে বাংলা ভাষায় বিঞ্চুভক্তি শাস্ত্র গ্রন্থ সহ আরও কয়েকটি গ্রন্থের অনুবাদ করেন। অতপর অদ্বৈত্য বাল্যলিলা গ্রন্থ রচনা করে কৃষ্ণদাস নামে আখ্যাত হন। রাজা দিব্য সিংহের পুত্র রামানাথ সিংহের তিন পুত্র ছিল। এই তিন পুত্রের মধ্যে একজন কাশীবাসি হন এবং এক পুত্রকে লাউড়ের রাজ সিংহাসনে বসিয়ে; রামানাথ সিংহ তার অন্য পুত্র কেশবের সাথে জগন্নাথপুরে আসেন। প্রাচীন ইতিহাসে লাউড় রাজ্য সব সময় স্বাধীন ছিল বলে জানা যায়। সৈয়দ মূর্তজা আলী তার রচিত 'হযরত শাহ্জালাল ও সিলেটের ইতিহাস' বইয়ে উল্লেখ করেছেন মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামলে লাউড়ের রাজা গোবিন্দ সিংহ তার জ্ঞাতিভাই জগন্নাথপুরের রাজা বিজয় সিংহের সঙ্গে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিরোধে লিপ্ত হয়েছিলেন। এর জের ধরেই বিজয় সিংহ গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হন। প্রায় পনেরো'শ শতকে হবিগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চলে বানিয়াচং রাজ্য স্থাপিত হয়। এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কেশব একজন বণিক ছিলেন। তিনি বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে এদেশে এসেছিলেন এবং কালী নামের দেবির পূজা নির্বাহের লক্ষ্যে দৈব্ বাণীতে শুকনো ভূমির সন্ধান প্রাপ্ত হয়ে সেখানে অবতরণ করে দেবি পূজা সমাধান করে দৈব বাণী মতে সেখানেই বসতি স্থাপন করেন। এক সময় শ্রীহট্টের উত্তর সীমা হতে ভেড়ামোহনা নদী পর্যন্ত বানিয়াচং রাজ্য বিস্তৃত ছিল। প্রায় শতের'শ শতকের শেষের দিকে গোবিন্দ খাঁ কর্তৃক শ্রীহট্ট ভূমির প্রাচীন রাজ্য "লাউড়" ইহার অধিকার ভূক্ত হয়। যাহা মূলত তৎকালে জগন্নাথপুর রাজ্যের রাজ্ বংশের অধিকারে আসার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশতঃ জগন্নাথপুর রাজ্যের রাজ্ বংশ তাদের অধিকার হারায় এবং ইহার জের ধরে দুই রাজ্যের মধ্যে হতা-হতীর কারণ জগন্নাথপুর রাজ্যের রাজ্ বংশ ধংশ হয়। ঐ সময়ে বানিয়াচং রাজা গোবিন্দ খাঁ দিল্লীর সম্রাটদের দ্বারা মুসলমান হয়ে, হাবিব খাঁ নাম ধারণ করে দেশে ফিরেন। শতের'শ শতকের পরে লাউড় রাজ্য স্বাধীনতা হারায় এবং মোঘলরা এর নিয়ন্ত্রক হন । যার ভিত্তিতে সুনাম উদ্দিন নামে জনৈক মোঘল সিপাহী এ অঞ্চলে একটি গঞ্জ বা বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। পরে উপজেলা, মহকুমা ও জেলা শহরে রুপান্তরিত হয়। বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার নাম ছিল বনগাঁও। ১৮৭৭ সালে সুনামগঞ্জ মহকুমা প্রতিষ্ঠত হয়। ১৯৮৪ সালে জেলায় রুপান্তরিত হয়। জেলায় মোট ৮১টি ইউনিয়ন এবং ২৭৭৩টি গ্রাম আছে। জেলার প্রথম হাইস্কুল সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৭ সাল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায়, দ্বিতীয় হাইস্কুল দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৫ সালে দিরাই উপজেলায়, তৃতীয় হাইস্কুল ব্রজনাথ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৯ সালে জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁওয়ে। ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয় সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ। জেলার প্রথম ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৈয়দপুর এম ই মাদরাসার বর্তমান নাম সৈয়দপুর সৈয়দিয়া শামছিয়া ফাজিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৩ সালে। সরকারি সতীশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় ও জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যা ১৯৪০ সালে স্থাপিত হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিল ছাতক উপজেলায় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এবং ১১ জন আহত হন। ২৯ জুলাই জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজারে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম সিরাজুল ইসলাম।যার নাম অনুসারে শহীদ সিরাজ লেকের নামকরণ করা হয়। সাচনা বাজারের এই যুদ্ধে শহীদ সিরাজ ছিলেন কোম্পানির সেকেন্ড ইন কমান্ড, কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন এডভোকেট আলী আমজাদ বড়ভাই। ১২ আগস্ট তেলিয়া গ্রামে পাকসেনারা ৮ জন সাধারণ লোককে হত্যা করে। ২৫ আগস্ট দিরাই উপজেলায় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ২ জন আহত হন। ৩১ আগস্ট জগন্নাথপুর উপজেলায় শান্তি সভার নামে রাজাকাররা শ্রীরামসী হাইস্কুলে স্থানীয় শিক্ষক, কর্মচারী, ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ও সাধারণ লোকজনের একটি সমাবেশের আয়োজন করে। রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকসেনারা উক্ত সভার ১২৬ জন লোককে হত্যা করে এবং গ্রামটি জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়া ৮ সেপ্টেম্বর পাকসেনারা এ উপজেলার রাণীগঞ্জ বাজারে ৩০ জন লোককে হত্যা করে এবং ১৫০ টি দোকান জ্বালিয়ে দেয়। সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজ ও আহসানমারা ফেরী ঘাট এলাকায় পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ চলাকালে পাকবাহিনীর আক্রমণে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মঙ্গলকাটার কৃষ্ণনগরে ৪৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ডলুরায় তাদের সমাহিত করা হয়। ৭ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা শত্রুমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন বধ্যভূমি: ৩ (জগন্নাথপুরের শ্রীরামসী, রাণীগঞ্জ), গণকবর: ৪; স্মৃতিফলক: ৩ (১৯৮০ সালে শ্রীরামসীতে নির্মিত স্মৃতিফলক, ১৯৮৯ সালে রাণীগঞ্জে স্মৃতিফলক), স্মৃতিস্তম্ভ: ৫ (ছাতকের শিখা সতের ও স্মৃতিসৌধ)।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ[সম্পাদনা]

সুনামগঞ্জ জেলা ১২টি উপজেলা, ১২টি থানা, ৪টি পৌরসভা, ৮৮টি ইউনিয়ন, ১৫৩৫টি মৌজা, ২৮৮৭টি গ্রাম ও ৫টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। জনসংখ্যা ২৬,৯৫,৪৯৫; পুরুষ ১৩,২২,৫৯০, মহিলা ১৩,৭১,৫১৭। মুসলিম ১৭১৫০৩৩, হিন্দু ২৯৪৭৬৫, বৌদ্ধ ২৮৪৩, খ্রিস্টান ১৩৬ এবং অন্যান্য ৯৬১। এ জেলায় মনিপুরী, খাসিয়া, হাজং, গারো প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

উপজেলাসমূহ[সম্পাদনা]

সুনামগঞ্জ জেলায় মোট ১২টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:

ক্রম নং উপজেলা আয়তন[৭]
(বর্গ কিলোমিটারে)
প্রশাসনিক থানা আওতাধীন এলাকাসমূহ
০১ ছাতক ৪৪০.৪৮ ছাতক পৌরসভা (১টি): ছাতক
ইউনিয়ন (১৩টি): ইসলামপুর, নোয়ারাই, ছাতক সদর, কালারুকা, চরমহল্লা, খুরমা উত্তর, সিংচাপইড়, খুরমা দক্ষিণ, জাউয়াবাজার, দোলারবাজার, গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও, ছৈলা আফজালাবাদ এবং ভাতগাঁও
০২ জগন্নাথপুর ৩৬৮.১১ জগন্নাথপুর পৌরসভা (১টি): জগন্নাথপুর
ইউনিয়ন (৮টি): কলকলিয়া, পাটলী, মীরপুর, চিলাউড়া হলদিপুর, রাণীগঞ্জ, সৈয়দপুর শাহারপাড়া, আশারকান্দি এবং পাইলগাঁও
০৩ জামালগঞ্জ ৩০৯.৩৯ জামালগঞ্জ ইউনিয়ন (৬টি): বেহেলী, জামালগঞ্জ, ফেনারবাঁক, সাচনা বাজার, ভীমখালী এবং জামালগঞ্জ উত্তর
০৪ তাহিরপুর ৩১৫.৩৪ তাহিরপুর ইউনিয়ন (৭টি): শ্রীপুর উত্তর, শ্রীপুর দক্ষিণ, বড়দল দক্ষিণ, বড়দল উত্তর, বাদাঘাট, তাহিরপুর এবং বালিজুরি
০৫ শান্তিগঞ্জ ৩০৩.১৭ শান্তিগঞ্জ ইউনিয়ন (৮টি): শিমুলবাক, জয়কলস, পশ্চিম পাগলা, পূর্ব পাগলা, দরগাপাশা, পূর্ব বীরগাঁও, পশ্চিম বীরগাঁও এবং পাথারিয়া
০৬ দিরাই ৪২০.৯৪ দিরাই পৌরসভা (১টি): দিরাই
ইউনিয়ন (৯টি): রফিনগর, ভাটিপাড়া, রাজানগর, চরনারচর, দিরাই সরমঙ্গল, করিমপুর, জগদল, তাড়ল এবং কুলঞ্জ
০৭ দোয়ারাবাজার ২৬৩.৩৫ দোয়ারাবাজার ইউনিয়ন (৯টি): বাংলাবাজার, নরসিংহপুর, দোয়ারাবাজার, মান্নারগাঁও, পাণ্ডারগাঁও, দোহালিয়া, লক্ষ্মীপুর, বোগলাবাজার এবং সুরমা
০৮ ধর্মপাশা ৩০১.০১ ধর্মপাশা ইউনিয়ন (৬টি): সুখাইড় রাজাপুর উত্তর, সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ, ধর্মপাশা, জয়শ্রী, পাইকুরাটি এবং সেলবরষ
০৯ বিশ্বম্ভরপুর ২৪৮.৬৪ বিশ্বম্ভরপুর ইউনিয়ন (৫টি): সলুকাবাদ, ধনপুর, পলাশ, ফতেপুর এবং বাদাঘাট দক্ষিণ
১০ শাল্লা ২৫৬.০৪ শাল্লা ইউনিয়ন (৪টি): আটগাঁও, হবিবপুর, বাহাড়া এবং শাল্লা
১১ সুনামগঞ্জ সদর ২৯০.৭১ সুনামগঞ্জ সদর পৌরসভা (১টি): সুনামগঞ্জ
ইউনিয়ন (৯টি): রংগারচর, গৌরারং, মোহনপুর, লক্ষণশ্রী, কুরবাননগর, মোল্লাপাড়া, জাহাঙ্গীরনগর, সুরমা এবং কাঠইর
১২ মধ্যনগর ২৩০ মধ্যনগর ইউনিয়ন (৪টি): বংশীকুন্ডা উত্তর, বংশীকুন্ডা দক্ষিণ, চামরদানী এবং মধ্যনগর

সংসদীয় আসন[সম্পাদনা]

সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৮] সংসদ সদস্য[৯][১০][১১][১২][১৩] রাজনৈতিক দল
২২৪ সুনামগঞ্জ-১ মধ্যনগর উপজেলা, ধর্মপাশা উপজেলা, জামালগঞ্জ উপজেলা এবং

তাহিরপুর উপজেলা

রনজিত চন্দ্র সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২২৫ সুনামগঞ্জ-২ দিরাই উপজেলা এবং শাল্লা উপজেলা জয়া সেনগুপ্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২২৬ সুনামগঞ্জ-৩ জগন্নাথপুর উপজেলা এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলা এম. এ. মান্নান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২২৭ সুনামগঞ্জ-৪ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা মোহাম্মদ সাদিক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২২৮ সুনামগঞ্জ-৫ দোয়ারাবাজার উপজেলা এবং ছাতক উপজেলা মুহিবুর রহমান মানিক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

সুনামগঞ্জ জেলায় জেলেদের জীবন

মাথাপিছু আয় ৩৫৯০ ডলার।কৃষি নির্ভর অর্থনীতি।অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল।ধান উৎপাদনে এ জেলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে সমগ্র বাংলাদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশ খাদ্যে আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। মূলতঃ পাথর শিল্প, মৎস্য, ধান, সিমেন্ট শিল্প।

পশু-পাখি[সম্পাদনা]

বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর পরিযায়ী পাখির অভয়াশ্রম। ২০০০ সালের ৬ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টাংগুয়ার হাওরকে ‘রামসার সাইট’ হিসেবে ঘোষণা করেন। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এ হাওরটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি। স্থানীয় লোকজনের কাছে হাওরটি নয়কুড়ি কান্দা ছয়কুড়ি বিল নামেও পরিচিত। এটি সুন্দরবনের পরই বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার স্থান। পরিবেশবাদীদের গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে বিপন্ন প্রায় বিরল প্রজাতির ২ শতাধিক পাখি এবং বিপন্ন ১৫০ প্রজাতি মাছের সমাগম এ হাওরে। টাংগুয়ায় রয়েছে স্তণ্যপায়ী দুর্লভ জলজ প্রাণী গাঙ্গেয় ডলফিন (শুশুক), খেঁকশিয়াল, উঁদ, বনরুই, গন্ধগোকুল, জংলি বিড়াল। উদ্ভিদের মধ্যে নলখাগড়া, হিজল, করচ, বরুন, রেইনট্রি, পদ্ম, বুরো গোলাপসহ ২০০ প্রজাতির অধিক দেখা মেলে।

হাওর[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের বিশেষ করে সুনামগঞ্জ জেলার হাওরগুলোর আছে মনোমুগ্ধকর নাম যেমন-টাংগুয়ার হাওর (টাঙ্গার আওর), শনির হাওর (শনির আওর), মাটিয়ান হাওর (মাইট্টান আওর), দেখার হাওর (দেখার আওর), হালির হাওর (আলির আওর), কড়চা হাওর (খরছা আওর), পাকনা হাওর (ফাখনা আওর), ধলা পাকনা হাওর (দলা ফাখনা আওর), আঙ্গরখালি হাওর (আঙ্গরখালি আওর), খচ্চর হাওর (খচ্ছরর আওর), নখলা হাওর (নখলা আওর), সানুয়াডাকুয়া হাওর (শাউন্নাডাঙ্গা আওর), শৈল চকরা হাওর (হইল ছখরা আওর), হৈশাম হাওর (অইশাম আওর), বড় হাওর (বড়াওর), হালিয়ার হাওর (আইল্লার আওর), চন্দ্রসোনার থাল হাওর (ছান্দরশুনার তাল আওর), ডিঙ্গাপুতা হাওর (ডিঙ্গাফুতা আওর) প্রভৃতি।

শিক্ষাব্যবস্থা[সম্পাদনা]

সুনামগঞ্জ জেলার সাক্ষরতার হার ৪৯.৭৫%। সুনামগঞ্জ জেলায় শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিট ভর্তির হার ছিল ৯৮.৫৩%। গড় উপস্থিতির হার ৮৯ শতাংশ। প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ঝড়ে পড়ার হার ১০.৩৮ শতাংশ। ইউনিসেফ ২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী সুনামগঞ্জ জেলায় শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হার ৩৭%। হাওর জনপদের অসুবিধাগ্রস্ত পরিবারের অভিভাবকগণ পূর্বে প্রাথমিক শিক্ষা সর্ম্পকে কিছুটা অসেচতন থাকলেও বর্তমানে সমাজের উচ্চবিত্ত পরিবারের মত প্রান্তিক সমাজের অভিভাবকদের কাছেও প্রাথমিক শিক্ষার চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের মৌলিক শিক্ষা হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষাকে বেছে নিচ্ছেন। ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরিক্ষায় পাশের হার ৯১.৯৫%। শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৪.৪%; পুরুষ ৩৮.১%, মহিলা ৩০.৫%। পি টি আই ১, কলেজ ৩০, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০৫০, কারিগরি স্কুল ৫, কিন্ডার গার্টেন ২০, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৭২, মাদ্রাসা ১৬৫। সুনামগঞ্জ জেলায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য জেলায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ:

বিশ্ববিদ্যালয়[সম্পাদনা]

বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত তারিখ আচার্য
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন


সুনামগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

কলেজ[সম্পাদনা]

কলেজ স্থাপিত অধ্যক্ষ
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ ২০২১ মনোজিত মজুমদার
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ১৯৪৪ রজত কান্তি সোম
সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ১৯৮৬ পরাগ কান্তি দেব
বংশীকুন্ডা কলেজ ২০১৩ নুরূল আমিন
ছাতক সরকারি কলেজ
জগন্নাথপুর সরকারি কলেজ
দিরাই সরকারি কলেজ
ধর্মপাশা সরকারি কলেজ
দোয়ারাবাজার সরকারি কলেজ
শাল্লা সরকারি কলেজ
বাদাঘাট সরকারি কলেজ ১৯৯৪ খ্রীঃ জুনাব আলী
আবদুল হক স্মৃতি কলেজ
রাণীগঞ্জ কলেজ মোহাম্মদ আলাউর রহমান ঠাকুর
জামালগঞ্জ সরকারি কলেজ
জাউয়া বাজার ডিগ্রি কলেজ ১৯৯৫ খ্রীঃ
জয়নাল আবেদিন ডিগ্রি কলেজ

ইনস্টিটিউট[সম্পাদনা]

আইটি ট্রেনিং সেন্টার[সম্পাদনা]

মাধ্যমিক বিদ্যালয়[সম্পাদনা]

মাদ্রাসা[সম্পাদনা]

  • বুরাইয়া কামিল (এম.এ) মাদ্রাসা,ছাতক।
  • হবিবপুর-কেশবপুর সুন্নিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, জগন্নাথপুর।
  • হলিয়ারপাড়া জামেয়া ক্বাদেরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, জগন্নাথপুর।
  • ইকড়ছই জামেয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, জগন্নাথপুর।
  • সৈয়দপুর সৈয়দীয়া শামছিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, জগন্নাথপুর।
  • কুবাজপুর শাহজালাল সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা, জগন্নাথপুর।
  • নোঁয়াগাও দাখিল মাদ্রাসা, মধ্যনগর
  • আলহেরা জামেয়া ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা, ‍সুনামগঞ্জ
  • জামালগঞ্জ ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা
  • বাদাঘাট রহমানিয়া আওয়ামী দাখিল মাদ্রাসা
  • মেরুয়াখলা মমিনিয়া ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসা, বিশ্বম্ভরপুর
  • দিঘির পাড় দাখিল মাদ্রাসা, বিশ্বম্ভরপুর
  • রতারগাঁও মুহিউসসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, সলুকাবাদ বিশ্বম্ভরপুর
  • সুন্নিয়া গাওসিয়া মডেল মাদ্রাসা বাঘবেড়, সলুকাবাদ, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ
  • বালিজুরী ফাজিল মাদ্রাসা, তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ
  • দারুল হাদিস টাইটেল মাদ্রাসা জাউয়া

জাউয়া বাজার

  • জয়দা আরাবিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা.

জগ্ননাথপুর,সুনামগঞ্জ

  • চানপুর ক্বাসিমুল উলুম হাফিজিয়া আরাবিয়া মাদরাসা, জামালগঞ্জ।

সড়ক, রেল ও নৌপথ[সম্পাদনা]

সড়ক যোগাযোগ

সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কটিই জেলার সড়ক যোগাযোগের প্রধানতম পথ। এ পথেই রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য জেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা হয়। সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা হয়ে নেত্রকোণা জেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের নিমিত্তে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্প নির্মাণাধীন। এছাড়া সুনামগঞ্জ-ছাতক আঞ্চলিক সড়ক, সুনামগঞ্জ-দিরাই আঞ্চলিক সড়ক, সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর আঞ্চলিক সড়ক, সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর আঞ্চলিক সড়কের মাধ্যমে জেলার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে উপজেলাগুলো।

রেল যোগাযোগ

জেলার ছাতক উপজেলার সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ রয়েছে। রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনে সিলেট-ছাতক হয়ে সুনামগঞ্জ সদর পর্যন্ত রেলপথ পরিকল্পনাধীন।

নৌ যোগাযোগ

প্রাচীন কাল থেকে সুনামগঞ্জের সাথে ঢাকা শহরের নৌ যোগাযোগ ছিল। সুরমা নদী হয়ে এ যোগাযোগ এখনো অব্যাহত আছে।

বা‌রেক টিলা দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

নদনদী[সম্পাদনা]

সুনামগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন নদী প্রবাহিত হয়েছে। যেমনঃ সুরমা নদী, জাদুকাটা নদী,মনাই নদী, পিয়াইন নদী, সারী-গোয়াইন, ইটাখোলা নদী, সোনালী চেলা, ঘানুয়ারা নদী, বোকা নদী। এসব নদীকে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন জীবন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। নদীপথে যাতায়াতে উল্লেখ্য নদী গুলোর ভূমিকা রয়েছে। জেলেদের জীবিকা নির্বাহে নদীগুলো অন্যতম মাধ্যম।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক[সম্পাদনা]

হাওর বার্তা, দেশপ্রান্ত; সাপ্তাহিক: স্বজন (১৯৯১), সুনামকণ্ঠ (২০০০), সুরমা এক্সপ্রেস (২০০৬), সুনামগঞ্জ রিপোর্ট (২০০৫), সুনাম (১৯৮৪), দিন যায় (১৯৯২), সুনামগঞ্জের কাগজ (১৯৯১), সুনামগঞ্জের জনপথ (২০০৬), সুনামগঞ্জ সংবাদ (১৯৯১), সুনামগঞ্জ বার্তা (১৯৮৫), অনল (১৯৯১), গ্রাম বাংলার কথা (২০০৭); পাক্ষিক: সুরমা (২০০১), দারাইন (২০০০), ভাটি কথা (২০০১), বিজয় (২০০২), গাং (২০০৩), নক্ষত্র (২০০৪), কালনী (২০০১), হাওড়ের ঢেউ, সুচয়ন, প্রত্যায়ন, মঙ্গলা (১৯০৬), কালের করতল (১৯৭৭), জামালগঞ্জ সমাচার (১৯৮৫), ভালবাসি স্বদেশ (১৯৮৭), নবজাতক (১৯৮৭), প্রভাত (১৯৯০), অপরাজিত তারুণ্য (১৯৯১), উত্তর প্রজন্ম (১৯৯২), দিশারী (১৯৯৩), প্রতিধী (১৯৯৩), উম্মোচন (১৯৯৪), সাহসে জেগে উঠো (১৯৯৭), স্মৃতির অলিন্দে (১৯৯৮), পূর্বাশা (১৯৯৮), রক্তঝরা ফাগুনে (১৯৯৮), প্রেরণা (১৯৯৯), অভিপ্রায় (২০০১), নিবেদন (২০০৬); মাসিক: জগন্নাথপুর টাইমস (বর্তমান), ঝংকার (১৯২৯), প্রদীপ (১৯২৯); ত্রৈমাসিক: স্ফুলিঙ্গ; সাময়িকী: দিশারী (১৯৯৩), ক্ষুদ্রপট রুদ্রপ্রাণ (১৯৯৮), স্মৃতির অলিন্দে (১৯৯৮), অরুণোদয় (১৯৯৮, ২০০০)।

লোকসংস্কৃতি[সম্পাদনা]

হালযাত্রা, গোরমার নাচ, ধামাইল ও সূর্যব্রত গান, বীজবাস-ব্রত, বনলক্ষ্মীব্রত, ক্ষীরবাসব্রত, ফিরাল প্রভৃতি লোকজ আচার-অনুষ্ঠান উল্লেখযোগ্য।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে সুনামগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৪ 
  2. "বাংলাদেশের আদমশুমারি ২০১১" (পিডিএফ)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। 
  3. "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০ 
  4. মমিনুল হক, মোহাম্মদ (সেপ্টেম্বর ২০০১)। সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত 
  5. "জেলা তথ্য বাতায়ন"। ২৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০২১ 
  6. শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ, দ্বিতীয় ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় অধ্যায়, গ্রন্থকার - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি; প্রকাশক: মোস্তফা সেলিম; উৎস প্রকাশন, ২০০৪।
  7. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০২০ 
  8. "Election Commission Bangladesh - Home page"www.ecs.org.bd 
  9. "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯ 
  10. "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  11. "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  12. "জয় পেলেন যারা"দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  13. "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"সমকাল। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 

দর্শ‌নীয় স্থান[সম্পাদনা]